বিশ্বকর্মা নাকি বিশ্ব করেছেন নির্মাণ। প্রতিবছরই আমরা গাই তার জয়গান। কি এমন বিশ্ব তৈরি করলেন তিনি, যে বিশ্বে ভাত নেই, কাজ নেই তাকে কি করে ঈশ্বর মানি?
অকর্মা বিশ্বকর্মা
তমাল সাহা
হাতে কাম নেই,কাজ নেই।
কি করতে যে আসে,
ফিবছর নির্দিষ্ট দিনে ভাদ্র মাসে!
অকর্মার ঢেঁকি নাম বিশ্বকর্মা।
কল-কারখানা বন্ধ
বেকাররা রাস্তায় ঘোরে
প্রোমোটারি দাপটের রমরমা।
হাতে কাম নেই,
আর উনি বসে আছেন হাতির উপরে!
হাতিও তার তেমনই বনবাদাড় ছেড়ে
লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।
এক হাতে হাতুড়ি তাহার
অন্য হাতে দাঁড়িপাল্লা,
কোন দিকে, কাদের দিকে ঝোঁকে
সবাই জানে এমন কি খোদাৎআল্লা।
উনি নাকি গড়েছেন বিশ্ব।
এইতো তার অবস্থা!
বড়লোক আরো বড় হয়
গরিবেরা হয় ভস্ম।
উনি নাকি শ্রমিক দেবতা,
শ্রমিকদের ভালোবাসেন।
শ্রমিকদের অনাহার আত্মহত্যা দেখেও
লজ্জা নেই তাহার
ফি বছর বিশ্ব ভ্রমণে আসেন।
উনি নাকি দক্ষ অস্ত্র কারিগর!
বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র,
শিবের ত্রিশূল,
ইন্দ্রের বজ্র সবই নির্মাণ তাহার।
এইসব নিয়ে আসেন না ভুবনে।
তিনি ভয় পান,
সেই অস্ত্রেই ক্রোধী কামিন মানুষ
করে যদি তাহাকে সংহার।
এমন ভীতু বিশ্বকর্মা কে চায়?
আমাদের কাছ থেকে যেন
এই বিশ্বকর্মা দূর হয়ে যায়!