অবতক খবর,৪ এপ্রিল: স্থানীয়ভাবে অবতক খবর গতকাল কল্যাণী পৌরসভা কেন্দ্রিক একটি সংবাদ প্রকাশ করেছিল। সেই সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছিল প্রজন্মের শংসাপত্রের আবেদনের জন্য কল্যাণী পৌরসভা আবেদনকারীর কাছে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাইছে। এই আবেদন পত্রটি প্রকাশের পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে। এই বিতর্কটির তৃণমূল দলের বিপক্ষে চলে যায় এবং দলটির কাজকর্ম নিয়ে সমালোচনা উঠতে থাকে।
যেখানে নাগরিকত্ব প্রমাণের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেখানে পৌরসভা কোন আবেদনপত্রে বা কোনভাবেই নাগরিকত্বের প্রমাণ চাইতে পারে কিনা সেই প্রশ্ন উঠে যায় এবং তৃণমূল দলের কার্যকলাপের প্রতি অঞ্চলের মানুষজন, এমনকি রাজ্যের মানুষ সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠে।
সূত্রের খবর, অবতক-এ প্রকাশিত এই সংবাদটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসে এবং এই নিয়ে তিনি বক্তব্য রাখেন। ফলত, কল্যাণী পৌরসভার উপর একটা চাপ সৃষ্টি হয়।
কয়েকজন বরিষ্ঠ কাউন্সিলর এবং কল্যাণীর কয়েকজন সুধী ব্যক্তি জানিয়েছেন যে,আবেদন পত্রে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়াটা সঠিক হয়নি। ভাষাগতভাবে ভুল হয়েছে। এটি প্রত্যাহার করে নেওয়াই ভালো। জানা গেছে, কল্যাণী পৌরসভা এই আবেদন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং যারা প্রজন্মের শংসাপত্র চাইছেন তারা সাদা কাগজে আবেদন করতে পারবেন এবং নাগরিকত্বের কোন প্রমাণ দিতে হবে না। তারা যে অঞ্চলের আবাসিক অর্থাৎ যে অঞ্চলে বসবাস করেন,তার পক্ষে সেই কাগজপত্র বা তথ্য দাখিল করলেই চলবে।
অবতক-এ প্রকাশিত এই সংবাদের পর স্থানীয় কাঁচরাপাড়া অঞ্চলেও এই নিয়ে জনগণের মধ্যে একটা চাঞ্চল্য দেখা যায়।