অবতক-এর বিশেষ প্রতিবেদনঃ
শাসক কতটা নীচে নামতে পারে
তমাল সাহা
প্রতারণা,সততা, মিথ্যাবাদিতা এবং শাসক শব্দগুলি কি সমার্থক হয়ে গেল? গাঙ্গেয় এই বাতাসে এই শব্দগুলি ভেসে বেড়াচ্ছে, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরো দুটি শব্দ– চোর ও দুর্নীতি। বাংলাভাষার অভিধানে অসংখ্য শব্দ রয়েছে। মিথ্যাচারিতা প্রতারণা শঠতা দুর্নীতি এই ধরনের শব্দগুলি সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে এখন বাংলা অভিধানে।
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, শুধু শাসক নয়,রাজসভাসদ এবং তথাকথিত বুদ্ধজনদের মূল্যবোধ কি সমস্তই জীর্ণ পাতার মতন ঝরে পড়েছে,তা কী মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে! রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে এমন কোন শাসকের প্রধান কি কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির নিয়োগপত্র দিতে পারেন? তাহলে শাসকের চরিত্র কেমন সেটা তো নিশ্চিত ধরা পড়ে। শাসক যদি তানাশাহী ভঙ্গিতে অর্থাৎ জেসচারে পসচারে তার দাপট দেখিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে প্রকাশ্যে প্রতারণা করেন তাহলে বাঙালির নরকবাস অনিবার্য। এইসব দৃশ্যময়তা প্রকাশ্যে ঘটে চলেছে।
বাংলার বিবেকবান বুদ্ধিজীবীরা নিস্পৃহ উদাসীন ভঙ্গিতে বসে আছেন। রাজ্য শাসক যে নিয়োগপত্র বিলি করেছেন যে যে প্রতিষ্ঠানের জন্য তাদের পক্ষ থেকে এক প্রতিষ্ঠান জানিয়ে দিয়েছে তাদের সঙ্গে সরকারের কোন চুক্তি হয়নি এবং যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। এ ব্যাপারে যারা বিধানসভায় রয়েছেন,লোকসভায় রয়েছেন অর্থাৎ এই রাজ্য শাসকের দলভুক্ত যারা আইন প্রণয়ক এবং জন প্রতিনিধি তারাও শাসক প্রধানের এই কর্ম কৌশল দেখে নীরবতা পালন করেছেন। এই ভাবে কোন শাসক কি প্রজন্মের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারেন?
প্রকাশ্যে এই নিয়োগপত্র প্রদানের অনুষ্ঠানে মিথ্যাচাররণের কারণে শাসক প্রধান যখন জনসম্মক্ষে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েন,তাতে কি তার কোন লজ্জা বা শরম হয়েছে কিনা তাও আমাদের দুর্বোধ্য। বাংলার এই পরিবেশ থেকে লজ্জা শরম বেহায়া বেশরম শব্দগুলি দূরীভূত হয়ে গেছে বলে মনে হয়।