অবতক খবর / তমল সাহা : আজ আর সুপ্রভাত জানাচ্ছি না। সরাসরি চরম বাস্তবতায় চলে যাচ্ছি।কল্যাণীতে করোনা দাহঘাট নির্মাণঃ অবতক খবরের সংবাদকর্মীরা গ্রেপ্তার
সাংবাদিকতা কাকে বলে? সাংবাদিকরা কি দালাল হবে?
আজ বীজপুর অঞ্চল এবং কল্যাণী অধ্যুষিত অঞ্চলে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে গেল যার সঙ্গে জড়িত হয়ে গেল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদকর্মীদের দৃঢ়তা ও সাহসিকতা।
সাংবাদিকেরা কি রাষ্ট্রের দালাল হবে? প্রশাসনের দালাল হবে? এই প্রশ্ন উঠে গেল।
কিছু কিছু সাংবাদিক ও কিছু কিছু মিডিয়া চলেন প্রশাসনের সঙ্গে নেক্সাস করে যাকে বাংলায় বলে আঁতাত। অবতক নামে এই অঞ্চলের একটি পোর্টাল, এবং আমি জোরের সঙ্গে বলছি আঞ্চলিক, সর্বভারতীয় নয়, ছোট ছোট সংবাদ মাধ্যম, পোর্টাল মিডিয়া যে কাজ করতে পারে ফর দি পিপল, মানুষের জন্য সে কাজের সামাজিক দায়িত্ব বহন করছে অঞ্চলের এই পোর্টাল মিডিয়া, তার নাম অবতক।
আজ যে বিশাল জাগতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে করোনা নিয়ে যার জন্য সাধারণ মানুষ ভীত, সন্ত্রস্ত সেই বিষয়ে অবতকের সংবাদকর্মীরা সচেতন। তারা সামাজিক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন এটা আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি। তারা কোনো তথাকথিত ওই আগমার্কা সংবাদ সংস্থা, প্রেস ক্লাব এই যে ভারী ভারী কথা তার সঙ্গে সেভাবে যুক্ত নন। আসলে তারা কাজ করতে চান। তাদের সামাজিক বোধ আছে। তারা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান।
করোনা ইতিমধ্যেই এই অঞ্চলে শুধু ভীতি আমি বলবো না একটা সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। জনমনে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলে মানে কাঁচরাপাড়া সংলগ্ন কল্যাণীতে লাইভস্টক ফার্মের অভ্যন্তরে জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চলে যেটি সম্পূর্ণ নির্জন ও গোপন জায়গা যেখানে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি যায় না সেই অঞ্চলে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ পোড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি নিশ্চিত সরকার অধিকৃত স্থান। সরকারি স্থানে সরকার সরকারের কাজ করবে।
ইতিমধ্যে ওই জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চলে দাহর জন্য এমন একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে ওই অঞ্চলের মানুষেরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তারা বারংবার অভিযোগ জানাচ্ছেন যে করোনা সংক্রান্ত কোনো মৃতদেহ এখানে দাহ করা যাবে না। তেমন একটি সংবাদ অবতক ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের বক্তব্য নিয়ে প্রকাশ করেছিল, সেখানে সংবাদকর্মী রঞ্জন ভরদ্বাজ যে এই ভিডিওটি সম্প্রচারিত করেছেন তাতে তিনি জনগণের বক্তব্যই তুলে ধরেছেন। তার নিজস্ব কোনো বক্তব্য বা কোনো ভূমিকা ছিল না। সে শুধু সামাজিক
দায়িত্ব নিয়ে সংবাদকর্মীর ভূমিকা পালন করেছে।
কিন্তু পৃথিবীতে কোথায় দালাল কীভাবে লুকিয়ে আছে তা কেউ জানে না। যেহেতু মানুষের পাশে আছি সবসময়, তাই কোনো কোনো কাজ যা অবতক খবর মানুষের স্বার্থে করছে সেটি হয়তো প্রশাসনের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে, কিন্তু জনস্বার্থে আমরা নিরুপায়। কিন্তু যারা দালাল সাংবাদিক তারা অবতক খবরের বিরুদ্ধে,সূত্রের খবর সম্মিলিত অভিযোগ জানিয়েছে এবং অবতক খবর জনস্বার্থে যে কাজ করেছে তারা সেই কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। আমরা জানি তারা সাংবাদিকতার ধর্ম বর্জন করে দিয়ে এক দালালে পরিণত হয়েছে। কাক কাকের মাংস খায়না প্রবাদ আছে, কিন্তু সাংবাদিকরা সাংবাদিকদের মাংস খায় তা আজ প্রমাণিত।
তারা কারা? এখন আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন, তাদের নাম প্রকাশ করছেন না কেন? এই অভিযোগ অবতক খবরের বিরুদ্ধে করতেই পারেন। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, প্রশাসনিক পরিস্থিতি এমন একটি পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে কোনো মুহূর্তে অবতক খবরের সংবাদকর্মীরা গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারেন এবং অবতক খবরের অন্যতম ক্ষুদে সাংবাদিক রঞ্জন ভরদ্বাজ এবং আমাদের বরিষ্ঠ সংবাদকর্মী বিনয় ভরদ্বাজ গ্রেপ্তার হয়েছেন একথা সত্য এবং তাদের বিরুদ্ধে দুটি ধারা দেওয়া হয়েছে। এটা প্রশাসনিক নির্লজ্জতার প্রমাণ।
প্রশাসনিক অভিযোগ, কেন তারা অকুস্থল যেখানে দাহস্থান তৈরি করা হয়েছে সেই অঞ্চলের ক্ষুব্ধ মানুষের বক্তব্য তুলে ধরেছেন এবং তা প্রচারে এত উদগ্রীব হয়ে উঠলেন।
তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি তারা এখন মুক্ত আছেন, স্বাধীনভাবেই আছেন সরকারী প্রশাসনের যে আইনের ধারা লাগু করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে তারা লড়বেন।
এখন প্রশ্ন, আপনারা কোন দিকে আছেন? আপনারা কি জানতে চান?অবতক খবর কেবলমাত্র দেখিয়েছে ওই অঞ্চলের মানুষেরা চায় না ওখানে করোনা আক্রান্ত ডেডবডির দাহ করা হোক। অবতক খবর সেই বিষয়ে জনসাধারণের বক্তব্যই তুলে ধরেছে। এর বেশি অবতক খবর কিছু করেনি। অবতক-এর নিজস্ব
বক্তব্য তাতে কিছু ছিল না। মানুষের অভাব, অভিযোগ, অধিকারের কথা তুলে ধরা কি অন্যায়?
কিন্তু দালাল সংবাদকর্মীরা এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আজ অবতক খবরের অগ্রগতি রোধ করতে চাইছে।
জনস্বার্থে অবতক খবর যে কাজ করছে সেই কারণে,আবার পরিষ্কারভাবে বলছি ঈর্ষান্বিত হয়ে দালালরা এই অভিযোগ করেছে এবং কল্যাণী পুলিশ অবতক-এর বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে এবং
সংবাদকর্মীদ্বয়কে নাজেহাল করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ধারা দিয়েছে অথচ সকাল আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রেখে মানসিক নির্যাতন করেছে। সংবাদকর্মী বিনয় ভরদ্বাজ কিডনি সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত। বারবার বলা সত্ত্বেও পুলিশ সে বিষয়ে কোনো গুরুত্বই দেয়নি।
এ কথা বলতে অবতক-এর কোনো দ্বিধা নেই, অবতক জানাচ্ছে, অবতক-এর সংবাদকর্মীরা সেই প্রশাসনিক ধারার মোকাবিলা করবেন তার জন্য প্রস্তুত। তারা এখন মুক্ত আছেন। জনস্বার্থে এটি জানানোর জন্যই এই বক্তব্য প্রঢার করা হচ্ছে ্
আপনারা সচেতন হোন। আপনারা জানুন সংবাদ জগতে কি চলছে, কীভাবে প্রকৃত সংবাদকর্মীরা কাজ করতে চাইছেন। এই সংবাদমাধ্যমের মধ্যেও তৈরি হয়ে গেছে প্রশাসনিক দালাল মিডিয়া যারা তাদের স্বার্থে কাজ করেন।
যতই ঝুঁকি আসুক যতই বিপর্যয় আসুক অবতক খবর জনস্বার্থে কাজটি করে যাবেই। মানুষের কাছে আমরা নতজানু, আর কারো কাছে নয়।