হায় বীজপুর! কি করে ভুলে গেলি তাঁরে?

হালিসহরের ভূমিপুত্র বিপ্লবী বিপিনবিহারী গাঙ্গুলি। জন্ম ৫ নভেম্বর।তাঁকে বলা হতো রিভলবার মাস্টার এবং সাপ্লায়ার। দেশের যেখানে বিদ্রোহ, সেখানেই তাঁর রিভলবার মাস্ট। প্রকাশ্য দিবালোকে রডা কোম্পানির মাউজার পিস্তল লুটের দুঃসাহসী নায়ক তিনি। আত্মোন্নতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
১৯৫৩ সালে কাঁচরাপাড়া হকার্স কর্নার প্রতিষ্ঠা, মল্লিকবাগে উদ্বাস্তু কলোনি নির্মাণ, ১৯৪৮ সালে কাঁচরাপাড়ায় পানীয় জলের সরবরাহে পৌর চেয়ারম্যান শাস্ত্রী মশাইকে ইন্ধন যুগিয়েছিলে তুমি।
তুমি বীজপুরের প্রথম বিধায়ক।
হায়! তোমার কোনো ছবি নেই কাঁচরাপাড়া পৌরসভায়।
কি সব ফালতু অভিযোগ তুলিস তুই  কবি
কেউ ঘরে রাখে নাকি এইসব রাষ্ট্রদ্রোহীর ছবি?

অস্ত্রী
তমাল সাহা

গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না–
সে-ও পায়নি জানি।
ভূমিপুত্র ছিল সে
অনেক ইতিহাস যায় অক্ষরে আঁকা
কি যে ছিল তার বিপ্লবী ভূমিকা!
এদেশে সত্যি কি স্বাধীনতার সূর্য উঠেছে আকাশে?
জীবনের আঠাশটি বছর
বিফলে গেল কি কারাবাসে!

সে এক বিস্ময়!
দু হাতে পিস্তল চালনার কারিগরি।
অগ্নিযুগ– কার কার লাগবে পিস্তল
সে ছিল অস্ত্র সরবরাহকারী।

দু হাঁটুর ওপরে পিস্তল বাঁধা
উপরে পরিধেয় ধুতি।
হালিসহর তার বাগানে প্রশিক্ষণ
লড়াকু তৈরির কেরামতি।

প্রকাশ্য দিবালোকে
লুঠ হয়ে গেল পিস্তল কার্তুজ!
ফতুর হয়ে গেল রডা কোম্পানি।
কার কৃৎকৌশলে?
চতুর ব্রিটিশও টের পায়নি।

দেশ-বিদেশ ঘোরে কত লোক!
তোমার তো অনন্য ভ্রমণ
তোমাকে কেউ চিনল না।
তুমি ঘুরে ঘুরে দেখো কয়েদ ঘর
ভারতবর্ষের বিভিন্ন জেলখানা।
আজ কি তোমার গলায় পরবে
কোনো মালা?পরবে না।

সেসব অনেক ধূসর স্মৃতি।

রে, হালিসহর! তোর মনে পড়ে?
জন্ম তার পাঁচ নভেম্বরে।
নামটি তার বিপিন বিহারী
“পথের দাবি” শরৎ চাটুজ্জের মাতুল,
বিপ্লবী অস্ত্রবান প্রহরী।