হক জাফর ইমাম :: অবতক খবর :: মালদহ :: মালদা শহরের কৃষ্ণকালিতলা এলাকার গৃহবধূর ওপর অ্যাসিড হামলায় নয়া মোড়। পরিকল্পনামাফিক এবং চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে চন্দন রায় নামে ওই যুবককে। ওই যুবক এবং তার পরিবারের স্বপক্ষে আওয়াজ তুলে এবারে সরব হলেন মালদা ইংরেজবাজার থানার কৃষ্ণকালিতলা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুললেছেন তারা। মিথ্যা চক্রান্তে ফাঁসানো হয়েছে, মালদা ইংরেজবাজার থানায় পাল্টা লিখিত অভিযোগ করতে চলেছেন চন্দন রায়ের পরিবার। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অ্যাসিড হামলার স্বীকার ওই গৃহবধূ।
উল্লেখ্য গত বুধবার সন্ধ্যায় ইংরেজবাজার থানার কৃষ্ণ কালিতলা এলাকায় প্রকাশ্যেই এক গৃহবধূকে অ্যাসিড ছুড়ে মারে চন্দন রায় নামে এক যুবক বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে আটক করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা। এলাকাবাসীরা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, মিথ্যা চক্রান্ত করে ওই গৃহবধূ চন্দন রায়কে ফাঁসিয়েছে। বুধবার রাত্রে ঘটনার সময় স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। ওই গৃহবধূ নিজেই নিজের হাতে অ্যাসিড ঢেলে চন্দন রায়ের ওপর মিথ্যা মামলা করে। ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেছে তাকে অ্যাসিড ছুড়ে মারা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন অ্যাসিড ছুড়ে মারা হলে ওই গৃহবধূর শরীরের নির্দিষ্ট কোন জায়গায় পড়তো না গোটা শরীরে ছিটিয়ে পড়তো। তাই পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন কৃষ্ণ কালিতলার স্থানীয় বাসিন্দারা।
চন্দন রায়ের স্ত্রী জানান, তার স্বামীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। ঘটনার সময় স্থানীয়রা সকলেই উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে। কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের জিজ্ঞাসা করলেই বেরিয়ে আসবে। ওই গৃহবধূ চক্রান্ত করে তার স্বামীকে ফাঁসিয়েছে। নিজের হাতে নিজেই অ্যাসিড ঢেলে তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। শুধু তাই নয় তার এবং তার শাশুড়ি মার নামেও লিখিত অভিযোগ করেছে ওই গৃহবধূ। অথচ তারা সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। তাই ওই গৃহবধূ মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন।
অন্যদিকে অ্যাসিড হামলার স্বীকার ওই গৃহবধূ সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন তাকে অ্যাসিড ছুড়ে মারা হয়েছে। কিন্তু অ্যাসিড ছুড়ে মারা হলে গোটা শরীরে ছিটিয়ে পড়তো তাহলে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় কেন পড়েছে এই প্রশ্ন করা হলে ওই গৃহবধূ উত্তরে নামতা নামতা করে জানান হাত এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি তার কারণে হাতে পড়েছে গোটা শরীরে নয়।