অবতক খবর,২১ ফেব্রুয়ারী : আজ মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা চক্রের আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ম্বরে পালিত হলো আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস।ভাষা বেদীতে মাল্যদান করে শিশু সংসদের মন্ত্রীরা।
এক এক জনের হাতে বিভিন্ন বর্ণের স্লেট।প্রতিকী একুশ তৈরী করে শিশুরা ।একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন হয়।চলে বর্ণমালা নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব ।
প্রাক প্রাথমিক শিশুদের 2টি করে পেন্সিল রাবার ও সার্ভনার তুলে দেওয়া হয় ।শেষে কিশোর ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগার নিয়ে শিশু সংসদ ও অন্যরা বেড়িয়ে পরে গ্রামের উদ্দেশ্যে বাংলা বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করতে এমন উদ্যোগ বলে জানান প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত।
আজ একুশের রক্তের গন্ধ এপার থেকে ওপারে মাঠে-প্রান্তরে৷
লাঙলের ফালার মত নেশা জাগায় ভাষা প্রেম, নিঃশব্দে কেঁদে ফেরে ঢাকার রাজপথে—অ,আ,ক,খ র আঁচল বিছায়ে যেখানে ঘুমিয়ে আছে সালাম,রফিক,বরকত,,জুব্বার রা৷ যাঁরা আমাদের ভাষা চেতনা জাগিয়ে ঘুমিয়ে আছে ভাষা উর্বর লাল মাটিতে৷ আমার প্রাণের ভাষা,বাংলা ভাষার সবুজ সংকেতে আমি পথ চলবো আবহমান।
.সালাম, বরকত, জুব্বর আমরা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,
আমি কি ভুলতে পারি। ”
ভাষা ভাবের বাহন, অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। আর সেই মাধ্যম “মাতৃভাষা” ছাড়া অসম্পূর্ণ। বাংলা ছাড়া বাঙালি মৃত। তাই বাংলা ভাষাই হল বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। কেননা ছিন্নমূল বাঙালি ভাষাকে কেন্দ্র করেই ফিরে পেয়েছিল তাদের মাতৃভূমি।আমার ভিন্ন কোন ভাষা নেই, মিথ্যে সেতুর এপার থেকে ওপারে মাতৃ ভাষায় মাতৃ স্তন্যে তৃষ্ণা মেটাতে পারি।
আমি গঙ্গা,পদ্মার ঢেউ মিশিয়ে ঐক্য, সংস্কৃতির আবেগ ভাসিয়ে দিতে পারি সংলাপে,শব্দে—সঙ্গীতে!
আজকের এই গৌরব উজ্জ্বল দিনে আমাদের শপথ গ্রহণ করতে হবে,মাতৃভাষাই হোক আমাদের প্রাণের ভাষা,মনের ভাষা,আমাদের জ্ঞান অর্জনের ভাষা।
” মোদের গরব, মোদের আশা,
আ মরি বাংলা ভাষা !”