অবতক খবর ২ জানুয়ারিঃ কবিতা লিখে জেল এটা মেনে নিয়েছি, শহুরে নকশাল বলে হাজতবাস মেনে নিয়েছি। এসব নয় রাষ্ট্রদ্রোহিতা, তো আরজুনা বিবি জেলে কেন? সত্যি, মাইরি বলছি, আমি দেখিনি। তবে কাগজ বলছে, আরজুনা বিবির গলায় ও থাইয়ে বুট পায়ে দাঁড়িয়ে চাপ দিয়েছিল কারা যেন লক আপের ভিতরে! কারা? আমি তো দেখিনি। তবে এটুকু জানি যাদের ক্ষমতা আছে তারাই দাঁড়াতে পারে।
ভাত দাও আরজুনা বিবিকে, মুড়ি দাও তাকে। কোনোটাই সে গিলতে পারছে না, গলায় এমনই ব্যথা!
কি বলছে আরজুনা বিবি? লক আপে একটা মেয়ে পুলিশ, দুটো পুরুষ পুলিশ তাকে সুরক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছিল। শাড়ি হাঁটুর উপর পর্যন্ত উঠিয়ে খাইয়ে পা দিয়ে দাঁড়িয়েছিল। তারপর আর কি করেছিল? শাড়ি খুলে তাকে লাঠিপেটা করেছিল। মাইরি বলছি, এসব দৃশ্য আমি দেখিনি। এসব বলছিল আরজুনা বিবির স্বামী সোনু শেখ কাগজওলাদের কাছে।
সে বলেছিল, তার ঠিকানা নন্দকুমার ব্লক, শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সে থাকে গিরিরচক গ্রামে। আর অদূরে নরঘাটার ইটভাটার ইট বানায়।
পুলিশ এমনি এমনি মারে নাকি? পেটাই করে নাকি? লক আপের পুরে রাখে নাকি? এমনি এমনি জেলে পাঠিয়ে দেয়?। আরজুনা বিবি একদম ধোয়া তুলসী পাতা!
দুবার দুয়ারে সরকারে গিয়ে নাম তোলাতে পারেনি আরজুনা বিবি! ২০১৮ সালেও তার নাম আবাস যোজনায় তালিকাভুক্ত হয়নি। তার ঘর চাই। এটা একটা আবদার হলো?
বিডিও-এর কাছে আবাস যোজনায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ডেপুটেশনে জড়ো হয়েছিল আরজুনা বিবি, স্লোগান তুলেছিল। ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ শুক্রবার।
মেয়েমানুষ হয়ে আরজুনা বিবি আস্পর্ধা দেখিয়েছিল, এতো বড় সাহস!