কে জানে নায়ক না মহানায়ক!
আজ উত্তমকুমারের প্রয়াণ দিবস
পৃথিবীর চিড়িয়াখানায় কি হয়ে এসেছিল মানুষটি?
অমানুষ,নায়ক, সন্ন্যাসী রাজা অথবা ছদ্মবেশী, হতেও পারে বা অগ্নীশ্বর!
পথের দাবী নিয়ে সব্যসাচী হাতে ছিল দুরন্ত পিস্তল।
কোনোদিন ময়দানে পায়ের নিচে নড়ে উঠেছিল সজীব ঘাস!
দেখেছিল সে, আঁতকে উঠেছিল নাকি
পড়ে আছে একটি তেজবান দুর্দান্ত লাশ…
আমার উত্তমকুমারঃ জীবনটাই ধোঁয়া
তমাল সাহা
বড় একা লাগে এই আঁধারে মেঘের খেলায় আকাশ পারে—
তোমাকে মনে পড়ে, খুব মনে পড়ে
এই পথ যদি না শেষ হয়…
পথের শেষ নেই, এ তো চিরসত্য।
অনেক শিখা পুড়ে তবে এমন প্রদীপ জ্বলে
অনেক কথা মরণ হলে হৃদয় কথা বলে–
সে তো তুমি কত সহজেই বলেছিলে
বন্ধ দ্বারের অন্ধকারে… আমার স্বপ্ন তুমি
এতো ভালোবাসা, কার কাছে শিখেছিলে কি জানি?
আমি যামিনী তুমি শশী হে
শশী কাছে এলে যামিনীর হৃদয়ে কী হয়
যামিনী কাছে এলে শশীর কী হয় বুকের গভীরে
সবই তুমি বলে গিয়েছো সুরকন্ঠে আপন ক’রে
জীবন খাতার প্রতি পাতায় যতই লেখো হিসাব নিকাশ কিছুই রবে না…
এতো সত্য বিষাদমাখা উচ্চারণ।
আসলে তুমি জানো জীবন কেমন
অথচ তুমি বলে চলো,
আমি চেয়ে চেয়ে দেখি সারাদিন
আজ ওই চোখে সাগরের নীল
সঙ্গে জুড়ে দাও—
কে প্রথম কাছে এসেছি?
কে প্রথম চেয়ে দেখেছি?
কিছুই তো পাইনা ভেবে
কে প্রথম ভালোবেসেছি?
কেমন করে গেয়ে ওঠো এইসব গান!
এ সব শুনে শুনে নারীদের হৃদয়, সে এক বিষপান
চাঁদ দেখতে গিয়ে আমি তোমায় দেখে ফেলি,
কোন জোছনায় বেশি আলো এই দোটানায় পড়ি
এই শাব্দিক মুগ্ধতায় বয়ঃসন্ধির মেয়েরা কি ঋদ্ধ হয় জৈবিক চেতনায়?
মধ্যবিত্ত টানাপোড়েনে ঋতুমতীরা ভাবে
কিভাবে এই উত্তম পুরুষ কোন ঐশ্বর্য বৈভবে ভালোবাসার জন্ম দেয় তাদের ভেতর বারান্দায়।
দেখুক পাড়াপড়শিতে কেমন মাছ গেঁথেছি বড়শিতে…
মাছ তো নয়, জলডুবি মৎস্যকন্যা হয়ে দু বাহু বাড়ায়।
তোমার দেহের ভঙ্গিমাটি যেন বাঁকা সাপ
পায়ে পায়ে ছড়িয়ে রাখো যৌবনের ছাপ…
এরপরেও নারীরা কোথায় লুকিয়ে রাখে তাদের অন্তর্লীন উত্তাপ!
ভালবাসতে বাসতে তুমি এগিয়ে চলো কোন দর্শনে?
মানুষ খুন হলে পরে মানুষই তার বিচার করে, নেই তো খুনের মাফ
তবে কেন পায় না বিচার নিহত গোলাপ
বৃন্ত থেকে ছিঁড়ে নেয়া নিহত গোলাপ
অমানুষ কাকে বলে? ছদ্মবেশী হয়ে
এ কোন কথাবাণী রেখে যাও!
কি আশায় বাঁধি খেলাঘর বেদনার বালুচরে
নিয়তি আমার ভাগ্য লয়ে যে নিশিদিন খেলা করে বেদনার বালুচরে
শেষ পর্যন্ত কী সবই যথার্থ হয়ে যায়!
আমি যে জলসা ঘরে বেলোয়াড়ি ঝাড়
নিশি ফুরালে কেহ চায়না আমায়
তারপর
শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে
বাহিরে ঝড় বহে নয়নে বারি ঝরে।
ভুলিয়ো স্মৃতি মম,নিশীথ স্বপন সম
আচলের গাঁথা মালা ফেলিও পথ পরে
বাহিরে ঝড় বহে নয়নে বারি ঝরে…