অবতক খবর,৯ জুলাই: বসিরহাট সীমান্ত পর্যটন স্থল হিসাবে তথা বিশ্বের ভৌগোলিক মানচিত্র হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার ২১টি ব্লক যার মধ্যে বসিরহাট মহকুমা ১০টি ব্লক রয়েছে। যার মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত সুন্দরবনের প্রবেশদ্বারে রয়েছে হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালি ১ ও ২নং ব্লক, মিনাখাঁ ও হাড়োয়ার মতো ব্লক।

বসিরহাট জুড়ে প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষের বাস‌। যা রাজ্যের সবচেয়ে বড় মহাকুমা বলে পরিচিত। তাই এবার পর্যটন শিল্পে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরো যাতে বেশি করে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখানে ভিড় জমায়। যেমন তার জন্য পর্যটন শিল্পের উপরে নজর দেওয়ার দাবি তুললেন বসিরহাটের মানুষজন। ইতিমধ্যে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি ১০২টি দ্বীপ রয়েছে ও ৪৮টি দ্বীপের অরণ্য রয়েছে।

এছাড়া ৬৬টি প্রজাতির গাছ রয়েছে। কাঁকড়া, হেতাল, ক‍্যাওড়া, সুন্দরী, গরান ও গাওয়া সহ একাধিক ম্যানগ্রোভ রয়েছে। কমবেশি ১৫৮৬টি প্রজাতির প্রাণী বাস করে। যার মধ্যে ভয়ংকর রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত। সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ফুল গাছও রয়েছে। বসিরহাটের মানুষের আরো দাবি, সেগুলোর উপরে প্রসেসিং করে যাতে আরো বেশি সুন্দরবনকে শিল্পায়নের পরিণত করা যায় তার সব রকম ব্যবস্থা করুক সরকার। একদিকে বহু কর্মসংস্থান পাশাপাশি ছোট, মাঝারি ও বড় শিল্প গড়ে উঠতে পারে।

এছাড়াও অনুসারী শিল্পের মধ্য দিয়ে বহু প্রান্তিক মানুষের রুজি রোজগার মধ্য দিয়ে জীবিকা অর্জন করতে পারবে। বসিরহাটের সমাজকর্মী ছন্দক বাইন বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুন্দরবনের গরিমা সারা বিশ্বের কাছে প্রসিদ্ধ। সেটাকে আরো বেশি করে শিল্পায়ন মুখী করতে যদি রাজ্য সরকার আরো বেশি উদ্যোগী হয়, তাহলে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলবে।”