অবতক খবর,১৬ ডিসেম্বরঃ স্বামীর নামে বে আইনী ভাবে কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি করা, প্রতিবাদী পঞ্চায়েত সদস্যদের সভাসমিতি ও অর্থের মিটিংয়ে না ডাকা সহ একাধিক অভিযোগে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান সহ পঞ্চায়েত কর্মীদের তলব করেছিলেন মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক। দূর্নীতি ঢাকতে সংবাদমাধ্যমের সামনে লজ্জায় মুখ লুকোলেন মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর-চক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের মহিলা প্রধান বেগম হাসিনা নুসরৎ। অভিযোগ, ইসলামপুরের ঐ পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েতের সচিব, নির্মানসহায়ক সহ সরকারি কর্মীদের বারন স্বত্বেও ক্ষমতা ও দলের প্রভাব খাটিয়ে নিজের স্বামী সোহেল রানার ঠিকাদারি লাইসেন্সে বে আইনী ভাবে কোটি কোটি টাকার টেন্ডার নিয়েছেন, তাতে পঞ্চায়েতের প্রতিবাদি সদস্যদের নিষেধও শোনেননি। এমনকি বারন করলে ওই সদস্যদের পঞ্চায়েতের মিটিংয়ে ডাকাও বন্ধ করে দেন। এর বিরুদ্ধে ২০২১ সালে কোলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়েরও করেন সানোয়ার শেখ নামের স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা শাসককে ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক রাজর্ষী মিত্র অভিযুক্তদের তলব করে জবাদিহী নেন। বিভিন্ন নথীপত্রও দেখতে চান। মামলাকারী ও অভিযোগ কারী পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি।

এদিন অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান প্রধান হাসিনা নুসরত। মুখ লুকোতে পালিয়ে যান ক্যামেরার সামনে থেকে। বিরোধী ও অভিযোগকারীদের কটাক্ষ, চুরি করে ধরা পড়লে মুখ তো লুকোবেই।