অবতক খবরঃ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ঘিরে ফের বিক্ষোভ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেয় টিএমসিপি। বিক্ষোভের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে এদিন উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন রাজ্যপাল। ছাত্র পরিষদের দাবি, উপাচার্যদের এই বৈঠক অবৈধ। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদ হলেও তিনি সংবিধান মানেননি বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের।
টিএমসিপির অভিযোগ, উপাচার্যদের নিয়োগ করার জন্য রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও পরামর্শ নেননি। তিনি অবৈধভাবে উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন। তাছাড়া, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত পাঁচ বছর ধরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। অবিলম্বে সেখানে সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করারও দাবি জানান ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাদের আরও দাবি, রাজ্যপালকে নয় মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। মূলত এই সমস্ত দাবি-দাওয়া নিয়েই এদিন রাজ্যপালের কনভয় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পাশাপাশি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যাঁরা এদিন বৈঠকে যোগ দিতে আসেন তাঁদেরকে ঘিরেও বিক্ষোভ করে ছাত্র পরিষদ।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সদস্য বলেন, ‘অবৈধভাবে উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেই মূলত আমাদের বিক্ষোভ। আমরা চাইছি মুখ্যমন্ত্রীকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হোক।’ উল্লেখ্য, এর আগের দিনই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে ঘিরে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এদিন ১৪ জন উপাচার্যকে নিয়ে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেইমতোই ১৩ টি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এদিন বৈঠকে যোগ দেন। যদিও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই বৈঠকে যোগ দেননি। সকাল ১০ টা থেকে বৈঠক শুরু হয়।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, রাজ্যপাল অবৈধভাবে এই উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন। তাই তারা এই বৈঠককে অবৈধ বলে দাবি করেন। এর প্রতিবাদে এদিন তাদের এই বিক্ষোভ চলে। রাজ্যপালের কনভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছতেই কনভয় ঘিরে ছাত্র পরিষদের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখন। পরবর্তীতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন তারা। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়ন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।