বসন্তলিপি
এক নির্বোধ বালকের অক্ষরসজ্জা
তমাল সাহা
১)
পুশ পুল মানে সকলেই জানে
পুশপুল দরজা লাগানো আছে বড় বড় দোকানে
পুশ মানে যদি ঠেলা হয়
তবে ধাক্কা মানে কি?
এটা জানতে আমি বেং টু ইং শব্দকোষ খুলেছি!
এ ঘটনা না ঘটলে আমি কী কোনদিনও খুলতাম অভিধান?
এর থেকে পরিমাপ করে নাও আমার কতটুকু জ্ঞান!
২)
ইতিহাস তবে মিথ্যা, ধুলি ধূসরিত
বারবার শহীদের এত রক্ত! হতে পারে নাকো ব্যর্থ।
শোনো ভাই, এ রক্তের বদলা চাই!
এ রক্ত কার বলবো না,
শহিদ তোমায় ভুলছি না,ভুলব না!
৩)
রবীন্দ্রনাথ সিদ্ধহস্ত নিজের হাতে আঁকেন আত্মপ্রতিকৃতি
তিনি আজ পরাজিত, হায়!
শেখো কিভাবে আঁকতে হয় নিজের অবয়ব
দেখো কিভাবে কপাল থেকে মুখের দিকে রক্ত গড়ায়
আঁকিয়ে নিজের রক্ত নিজে চেটে খায়!
পণ্য হয় নিজের রক্তাক্ত মুখ
ভোটের বাজার মাতায়।
৪)
পা থেকে মাথা পর্যন্ত আপাদমস্তক—
ব্যাকরণে লেখা আছে অব্যয়ীভাব সমাস।
কপাল থেকে চুঁয়ে পড়ে রক্ত
ভিজে যায় বাংলার মুথা ঘাস!
প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে আজ
হাতে কলমে দেখি বিমূর্ত ব্যাকরণ।
ব্যাকরণেরও প্র্যাকটিক্যাল হয় পাই তার উদাহরণ!
৫)
রঘুপতি, তুমি এতো হিংস্র!
দেখাও কেন এতো রক্তপাতের দৃশ্য?
এতে লুকিয়ে আছে
কালের কোন সুগভীর রহস্য?
সেবিকারা কোথায় যায়?
কে না জানে বেডে দেবার আগে রক্তের দাগ মুছতে হয়!
বাংলাকে আকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা
হে নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ! বড় ভয় হয়।