অবতক খবর,২১ জুন: কলা, ক্যাপসিকাম, সর্ষের চাষ করে যে এমন ভাবে সোজা কোটির ঘরে পৌঁছানো যায় তা সত্যি অভাবনীয় , তবে এই অর্থের উৎস কথা শুনে মাথায় হাত পড়েছে ইডির । ইডি সূত্রের খবর ,কলা, ক্যপসিকাম, আখ থেকে শুরু করে টম্যাটো, নারকেল, সর্ষে বাদ নেই কিছুই, প্রায় সবই চাষ করে এই জমির মালিক প্রসন্ন ,আর এই জমির ভালো ফসল উৎপাদনে তিনি আয় করেছেন ২৬ কোটি টাকা ।

তবে এটি আদত্তে কতটা সত্যি তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ইডি ।এর আগে এই জমির মালিক প্রসন্ন কে গ্রেফতার করা হয়েছিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ।অভিযোগ, তিনি শান্তিপ্রসাদের ‘ঘনিষ্ঠ মিডলম্যান’। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও প্রসন্নের যোগাযোগ ছিল।এর পর তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যায় ।তবে সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও প্রসন্নের জমির নয়া তদন্ত ইডির ।

তবে ,ফসলের চাষ করে কি ভাবে তিনি এত টাকা আয় করলেন ?অর্থের পরিমান ভাবাচ্ছেন ইডি দফতরের অধিকারীর কর্তাদের ।তারা মানতে নারাজ এত কোটি টাকা শুধু চাষ করে রপ্ত করেছে ।তারা জানান :প্রসন্নের বিভিন্ন সংস্থার অধীনে যে সমস্ত জমি রয়েছে, তাতে আদৌ কোনও চাষ হয়নি।এর আগে এসএসসি দুর্নীতির মামলায় প্রসন্নকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ।চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, প্রসন্নের নামে মোট ৯১টি সংস্থার হদিস পাওয়া গিয়েছে। প্রতিটি সংস্থার অধীনে বেশ কিছুটা করে জমি কেনা রয়েছে।

তদন্তকারীদের প্রসন্ন জানিয়েছেন, ওই জমিতে চাষ করান তিনি। সেখান থেকেই আয় হয় তার ।তবে এবার তদন্তে উঠে আসলো নয়া চাঞ্চল্য কর সূত্র ।নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে প্রসন্নের বিভিন্ন সংস্থায় ২৬ কোটি এক লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৭২ টাকার খোঁজ পেয়েছে ইডি।

জানা যায় ,তাকে এই বিষয়ে জেরা করা হলে তিনি বলেন ,এই সম্পূর্ণ টাকা কৃষিকাজের সূত্রে তিনি আয় করেছেন। আখ, পেঁপে, কলা, ক্যাপসিকাম, টম্যাটো, বিন্‌স, সর্ষে, নারকেল রয়েছে সেই চাষের তালিকায়। প্রসন্ন জানিয়েছেন, স্থানীয় চাষিদের মজুরির ভিত্তিতে জমিতে নিয়োগ করেছিলেন তিনি। তবে ইডির সূত্রের রিপোর্ট অনুযায়ীই তার সমস্ত কিছু লেনদেনের ব্যাঙ্ক একাউন্ট হদিস পেয়েছেন ইডি ।চার্জশিটে ইডির দাবি, অ্যাকাউন্টগুলিতে ৭২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ইডি আরও জানিয়েছে, প্রসন্নের স্ত্রীর আয়ের অন্য কোনও উৎস নেই। তার অ্যাকাউন্টেও দু’কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।ইডির দাবি, প্রসন্নের জমিতে কোনও চাষবাস হয়নি। তদন্তকারীরা সংস্থার কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রসন্নের দাবির সপক্ষে তেমন কোনও নথি পাওয়া যায়নি। নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই তিনি বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন বলেই ইডির অনুমান। দুর্নীতির সেই উৎস আড়াল করতেই চাষবাসের এই উৎস দেখিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর ।