অবতক খবর,২৩ জুনঃ নদীয়ার হরিণঘাটা পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশীষ রঞ্জন মহলানবীশ(৮৬) তাঁর মেয়ে অর্থাৎ তনুশ্রী মজুমদারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুললেন।
তাঁর বক্তব্য,তিনি তাঁর মেয়ে ও জামাইকে বিশ্বাস ও ভরসা করেই ৩৫ থেকে ৪০ ভরি সোনার গয়না তাদের লকারে রাখতে দেন।
পরবর্তীকালে ২০১৯ সালে তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হলে তিনি বারংবার তাঁর মেয়ে ও জামাইকে বলেন,যাতে সেই গয়না বিক্রি করে তার স্ত্রীর চিকিৎসা করা হয়।
কিন্তু তাঁর কোন কথায় কান দেয়না তাঁর মেয়ে ও জামাই। অবশেষে ২০১৯ সালের ২৯শে জুলাই তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তারপরও তিনি বহুবার গয়না চাইলে সেই গয়না দেওয়া তো দূরের কথা উল্টে তাঁর জামাই তাঁকে ফোনে হুমকিও দেন। অবশেষে হুমকি থেকে বাঁচতে ও গয়না ফেরত পাবার আশায় তিনি পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।
তিনি পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সাংবাদিকদের কাছে সাহায্য চান এবং সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে আশীষ রঞ্জন বাবু বলেন “এই চিন্তায় যদি আমি মরে যাই তাহলে আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী হবে আমার মেয়ে তনুশ্রী মজুমদার ও জামাই বিশ্বজিৎ মজুমদার।”
উল্লেখ্য,তনুশ্রী মজুমদার পেশায় একজন শিক্ষিকা। তিনি মহাদেবী বিড়লা গার্লস হাই স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিন্সিপালের দায়িত্বে আছেন। যেখানে একজন শিক্ষিকার দায়িত্ব সঠিক শিক্ষা দান করা,সেখানে সে নিজেই কিভাবে তাঁর বাবার সাথে গয়না নিয়ে প্রতারণা করতে পারে,এ নিয়েই হতবাক তাঁর পিতা থেকে শুরু করে পরিবার-পরিজন।