চন্দ্রাহত রাতে বিধবারা আজ আর কাঁদে না। বর্ণপরিচয় হাতে অনেক দূর এগিয়ে যায়। ইস্কুলে ইস্কুলে নারীরা এখন শিক্ষিকা হয়ে প্রজন্মের পাশে দাঁড়ায়।

ঐশ্বর্য
তমাল সাহা

গন্ধে ভেসে গিয়েছে বৃষ্টিঝরা রাত
শ্রাবণ-ধারা নামে কদম ফুল ফোটে দীর্ঘায়ত গাছে।
সেই বিধবা মেয়েটির চোখ বেয়ে নামে জল
সে শুধু দাঁড়িয়ে থাকে জানালার কাছে।

মেয়েটি ভাবে তুমি না থাকলে তারা যেত কোথায়
নাগরিক অসভ্যতা ব্যভিচার এইতো নারীর শরীর!
লুটেপুটে খায় পুরুষতন্ত্র
তুমি বসে বসে কাঁদো তমসা গভীর।

তোমার মাথায় ইষ্টক বর্ষণ তোমার মূর্তি ভাঙা
প্রতিনিয়ত তোমার যন্ত্রণা যুদ্ধ বারোমাস।
তোমাকে ছাড়া জীবন বাঁচে নাকি
বর্ণপরিচয় বিধবাবিবাহ নারীশিক্ষা সভ্যতার ইতিহাস।

দুনিয়াজুড়ে অগণন লোক, কিছু মানুষ তো থাকে
ঋজু, টানটান তাদের শিরদাঁড়া।
সংখ্যাগরিষ্ঠের বাধা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দাও
শুধু নারী নয়, নীল আকাশে জ্বলে ধ্রুবতারা।

জুলাই মাসে তুমি চলে যাও
মেঘমল্লার বেজে ওঠে, বর্ষা মাঙ্গলিকী নিয়ে আসে।
জুলাই মাসেই বৈধব্যের আঁচল উড়ে যায় বাতাসে
ভালোবাসার নারীরা এসে দাঁড়ায় তোমার পাশে।