অবতক খবর:: পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের গন্তব্যে আসার জন্য শুধু যে সড়ক পথ ব্যবহার করছেন তা নয়, নদীপথও ব্যবহার করছেন তাঁরা। করেন্টাইন সেন্টার থেকে বাঁচতে তাঁরা নদীপথে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চলে আসছেন এ জেলায়। জানতে পেরে ময়দানে নামে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ।
পরিযায়ী শ্রমিকদের রুখতে তৎপর হয় মোথবাড়ি থানার পুলিশ। জাতীয় সড়ক হয়ে যাতে পুলিশের নজর এড়িয়ে এ জেলায় প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য ফরাক্কার পরই ১৮ মাইলে নাকা চেকিংয়ে রয়েছে পুলিশ। কালিয়াচকের বিস্তৃত এলাকা গঙ্গার পার ঘেষে। ওপারেই ঝাড়খন্ড রাজ্য। পুলিশের কাছে খবর রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা পুলিশ চোখে ধুলো দিয়ে ঝাড়খন্ড হয়ে গঙ্গা পার হয়ে গোপনে নিজের নিজের বাড়ি চলে আসতে পারে । নদীপথে পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকাতে চলছে পুলিশের গঙ্গাবক্ষে টহলদারি। মোথবাড়ি থানার পুলিশ কঠোর হাতে এই দায়িত্ব সামলাচ্ছে।
শুধু নদীপথই নয়, লকডাউন কার্যকরী করতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মোথবাড়ি থানার পুলিশ। লকডাউন ভাঙার অপরাধে পুলিশ প্রায় ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার রথবাড়ি বাজারে চায়ের দোকানদার-সহ বেশ কিছু টোটো আটক করা হয়েছে। এদিন সব নিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
মোথাবাড়ি থানার ওসি বিটুল পাল বলেন, জেলা পুলিশের সহযোগিতায় আমরা কাজকর্ম করছি । করোনা রুখতে লকডাউন নিয়ে কড়াকড়ি রয়েছে পুলিশ ও মানবিকভাবে এগিয়ে এসে দুস্থদের সহযোগিতা করছেন। ‘মোথাবাড়ি থানার বিপরীত দিকে ঝাড়খন্ড রাজ্য এবং গঙ্গা নদী। এই নদীপথে পরিযায়ী শ্রমিকরা চলে আসতে পারেন । ফরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে নদী পথে। যাঁরা আসছেন, তাঁদের আটক করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ পাশাপাশি মানবিকতারও পরিচয় দিচ্ছে মোথবাড়ি থানার পুলিশ। রাতে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা বিস্কুটের প্যাকেট-খাদ্য সামগ্রী রাখছেন। পথকুকুর ও ভবঘুরেদের দেখলেই তুলে দিচ্ছেন তাঁরা।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিংকুর রহমান বিশ্বাস বলেন,‘মোথবাড়ি থানার পুলিশ পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকাতে ও লকডাউনে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এমনকী নদীপথেও টহলদারিতেও রয়েছে। আবার ব্লক প্রশাসন কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে যৌথভাবে মাস্ক বিলি থেকে ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রেও ভূমিকা গ্রহণ করেছে তারা।’