অবতক খবর,১৮ জানুয়ারি,লালবাগ:- আজ লালবাগ শাখার পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে কন্যাশ্রীর ২৫০০০ টাকা তুলবার জন্য তিলোত্তমা কর্মকার নামে এক মহিলা ব্যাংকে আসেন। এসে তিনি সিএসপি কর্মী এনামুল কে টাকা তোলবার কথা বলেন এবং তিনি জানান কন্যাশ্রীর ২৫০০০ টাকা তিনি ব্যাংক থেকে তুলবেন।
এনামুল এই মহিলার কাছ থেকে ব্ল্যাংক উইথড্রলে সই করে নেন। তারপর তাকে জানানো হয় যে আজ ১০হাজার টাকা পাবেন, আগামী দুদিন পর বাকি ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। কারণ করোনার জন্য টাকা পয়সা ঠিকমত লেনদেন হচ্ছে না বলে তিনি ওই মহিলাকে জানান। এরপর এনামুল ২৫হাজার টাকা উইথড্রল ব্যাংকের ক্যাশিয়ার এর কাছে নিজে গিয়ে টাকা তুলে নেন। এবং পার্টিকে এনামুল ১০হাজার টাকা দেন, বাকি টাকা দুদিন পর এসে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাংকে উপস্থিত হন বিশিষ্ট সমাজসেবী বাপন অধিকারী। তারপর দেখা যায় যে ওই টাকা তোলার উইথড্রলে এনামুল ২৫ হাজার টাকা তুলেছেন, পার্টি কে দিয়েছেন ১০ হাজার টাকা। এখন প্রশ্ন কি করে ক্যাশিয়ার পার্টির হাতে টাকা না দিয়ে এনামুলের হাতে দিলেন। তাহলে কি এটা সত্য ক্যাশিয়ার এবং এনামুলের যোগসাজশে এই ব্যাংক থেকে লাখ লাখ টাকা তছরুপ হচ্ছে ।আজকের এই ঘটনা সেরকমই প্রমাণ করে। পরে পুলিশ এসে ওই কর্মীকে থানায় নিয়ে যান।
এখন এই পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক লালবাগ এবং পীরতলা শাখা ও লালবাগের এস বি আই ব্যাংকে দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে হয়রানির অভিযোগ উঠছে। পীরতলা ব্যাংকে ওই ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের নামে অভিযোগ উঠছেন তিনি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ফিক্স ডিপোজিটের টাকা উঠে যাওয়ার পরও একজন সিনিয়র সিটিজেন মহিলাকে টাকা দিচ্ছেন না ।অদ্যবধি ঘুরিয়ে যাচ্ছে, কারণ জানতে গেলে তিনি বলছেন যে হেড অফিসের গণ্ডগোলে আমরা দিতে পারছিনা ।
জানা নাই মানুষের টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত রাখার পর সেই টাকা নিতে গিয়ে কেন ব্যাংকের কর্মীরা এরকম হয়রানি করছেন গ্রাহকদের। লালবাগ এস বি আই তে ফোন নাম্বার লিঙ্ক করতে গিয়ে মানুষকে এক মাস সময় দেয়া হচ্ছে তারপরও দেখা যাচ্ছে যে একমাস পর গিয়েও আবার তাকে পুনরায় একমাস পর আসতে বলছেন। ব্যাংকে গ্রাহকদের নিয়ে এরকম কেন ছেলে খেলা চলছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কি বলবেন, তারা কি গ্রাহকদের দয়া করছেন?