কবিতাদের বাড়ি
তমাল সাহা

রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম যা চওড়া রোদ উঠেছে না! মাথা একেবারে তেতে যাচ্ছে। তাই এলাম, যদি একটা ছাতা দাও।

বৃষ্টি পড়ছে তো আজ আবার এলে কেন? তাইতো এলাম ছাতা ফেরত দেবো বলে। ভাবলাম বৃষ্টি পড়ছে ছাতাটা ফেরত দিয়ে আসি।
বৃষ্টি পড়েই চলেছে। আবার এই ছাতা নিয়েই তো ফিরে যেতে হবে। না, না, তুমি দেখো তখন বৃষ্টি থেমে যাবে।

আজ আবার এলে কেন?
ঘুম থেকে উঠে দেখি উঠোনে কিছু শিউলি ফুল ঝরে পড়ে আছে। ফুলগুলোর গায়ে শরতের গন্ধ লেগে আছে।
তোমার হাসি মুখটা মনে পড়ল। ভাবলাম যাই, তোমায় দিয়ে আসি।

তা কাল তো হেমন্তে পাতা ঝরবে, তখন কি করবে?
তখন আর কী করবো! পাতা ঝরার শব্দগুলো নিয়ে তোমার কাছে চলে আসবো। তোমার পাশে বসে থাকবো।

এবার নিশ্চয়ই বলবে হিমেল হাওয়া পড়বে, শীত আসছে তখন কী করবে?
কেন গত বছর যে সোয়েটারটা তুমি বানিয়ে দেবে বলেছিলে সেটা তো শেষ হয়নি। সেটা নিতে আসবো।

আর বসন্তে এলে সে তো অনেক কিছুই আছে! কোনোদিন কৃষ্ণচূড়া, কোনোদিন পলাশ ফুল নিয়ে আসবো। কোনোটা খোপার ফুল, কোনোটা বুকের মালা হয়ে দুলতে থাকবে!

কবিতাদের বাড়িটা খুব ভালো
সব ঋতুতেই আশ্রয় নেওয়া যায়!
পেছন ফিরতেই দেখি
কবিতা বনসৃজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জানালায়…