কবিতা নিয়ে কাটাছেড়া
তমাল সাহা
১) কবিতার বাড়ি
তুমি না এলেও তোমার বাড়ি যাবো
বারবার কড়া নাড়বো
তোমাকে স্পর্শ করে ওষ্ঠে চুম্বন রাখবো
তোমাকে খুব খুব ভালবাসবো
কবিতার ঘ্রাণ ছাড়া
বাঁচে কী বসুধা, এই ধরা!
২) কবি ও কবিতা
কবিতায় কবি আছে
সঙ্গে আছে প্রত্যয় তা
তা মানে ওম।
কবিতার পাণ্ডুলিপি বুকে নিয়ে চলে যাব
কোনদিনও ছুঁতে পারবে না যম!
৩) স্তব
যা সত্য বাস্তব
সেটাই কবিতার অনুভব।
কবি মুদ্রা মোহর চিনতে পারে
কিন্তু কবিতা জীবনের স্তব।
৪) কবিতা উৎসব
বিশ্ব কবিতা দিবস একদিন
আমার কবিতা উৎসব প্রতিদিন।
যারা জানার তারা জানে
প্রতিক্ষণ আমার কবিতার মুহূর্ত
কবিতা আমার মনে প্রাণে ঘ্রাণে।
তাই কবিতা নিয়ে আমার নেই
কোনো লোকদেখানো আহামরি।
পটুয়ার মতো অক্ষর ছেনে
আমি যখন তখন কবিতা গড়তে পারি।
৫) কবিতার মাপজোক
হ্যাঁরে তমু!
কবিতার কী কোনো মাপজোক হয়?
মাগো, তোমারে যে কী কমু!
কবিতার বুক এতো চওড়া
মাপন যায়না গো মা,এতোটাই গভীর!
কয়টা তো বর্ণ মাত্র
তা দিয়া তৈরি করা যায় লক্ষ কোটি শব্দতীর
ত্যামুন জ্যা রোপণ কইরা যদি ছুইড়া মারা যায় তাইলে তো রাষ্ট্র ঘায়েল
তখন বুঝা যায় কবিতা কত বড় অস্ত্র
আর রাষ্ট্র হ্যায় কত বড় বীর!
৬) চাঁদ ও জুঁইফুল
সারাদিন কলম চালাইয়া কি পাস?
মাগো! তেমুন কবিতা লিখতে পারলে
আর খিদা লাগে না।
তাইলে কী কস!
ভাতের থিকাও কবিতা বড়ো?
হ গো মা!
আমরা কই না চাঁদের মতো রুটি,
কই রুটির মতো চাঁদ
আমরা কই জুঁই ফুলের মতন ভাত
এইসব দারুণ চিত্রকল্প আঁকতে পারে শুধু কবিতার হাত!