নদীয়া::অবতক খবর ::কোভিড-১৯ আবহে রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়গুলিতে পঠন পাঠন বন্ধ। সাধারণ পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষালাভে যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে নিঃসন্দেহে। কিন্তু নদীয়া জেলার চাকদহ থানার অন্তর্গত শিমুরালী উপেন্দ্র বিদ্যাভবন ( উঃমাঃ) বহুদিন ধরেই ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন ক’রে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে প্রতি পদক্ষেপে নতুন নতুন পরিকল্পনা ক’রে তাকে বাস্তবায়িত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলার অন্যান্য অনেক বিদ্যালয়ের আগেই অনলাইনে পঠন পাঠন শুরু করেছিল এই বিদ্যালয়। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অনলাইন পঠন পাঠনের পরিবর্তে সম্মানীয় শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বিদ্যালয় থেকে অর্থ ব্যয়ে নমুনা প্রশ্ন ও তার আদর্শ উত্তর তৈরি ক’রে অভিভাবকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। নতুন বছরে নতুন শিক্ষা বর্ষের শুরুতেই উপেন্দ্র বিদ্যাভবনের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বিদ্যালয়ে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পড়াশোনার খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছেন। আগামী ১২ ই ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন শুরু হবার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র ক’রে বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও তাঁদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। শ্রী দিগ্বিজয় পটুয়া, প্রবীর দেব, ডঃ তাপস ব্যানার্জী, হিমাংশু মজুমদার, উত্তমকুমার দাস, অনির্বাণ নন্দী , সুফল ভৌমিক, মণিশংকর অধিকারী, প্রসেনজিৎ সরকার, শ্রীমতী দীপিকা বিশ্বাস প্রমুখ শিক্ষক-শিক্ষিকা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। অভিভাবক মহল শিক্ষকদের নিজেদের বাড়িতে পেয়ে যথেষ্ট খুশি। জনৈক অভিভাবক জানান, তিনি নিজেও এক সময় এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। আজ তার সন্তানের উন্নতির প্রচেষ্টায় তারই পুরনো শিক্ষকদের কেউ কেউ তার বাড়িতে এসেছেন। বিদ্যালয়ের ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি তার ভক্তি ও আস্থা দ্বিগুণ বেড়ে গেল। জনৈকা অভিভাবিকা জানান, ” এই বার ছেলেরা স্কুলে যাবার জন্য ব্যস্ত হবে। ” শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই অনন্য প্রয়াসকে বিভিন্ন পাড়ার অভিভাবকেরা বেশ সাধুবাদ জানিয়েছেন।