অবতক খবর , নরেশ ভকত, বাঁকুড়া : প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পুজোর সময়ে উন্মাদনা থাকে চরমে। প্রতিমা তৈরীর পালা শুরু হয় অনেক আগে থেকেই। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিনের পর বিশ্বকর্মা পুজো। এই মুহূর্তে সারা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ে জর্জরিত করোনা অতিমারীর মধ্যে সব জায়গা তেই জমায়েত বন্ধ রেখে হবে শুধু নিয়ম রক্ষার পুজো। আর এইরকম কঠিন পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকটে পড়েছেন বাঁকুড়া জেলার মৃ্ৎশিল্পীরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বিশ্বকর্মা ঠাকুরের চাহিদা নেই বললেই চলে। এর কারণ করোনা ভাইরাস।
রবীন্দ্রনাথ কর, বিদ্যুত রুইদাস নামে মৃ্ৎশিল্পী বলেন, করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউনের জন্য চার পাঁচ মাস কাজ বন্ধ। প্রতিমা বানাতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে মাটি ও খরের দাম নিয়ে। শুধু তাই না, সমস্ত কাঁচামালের দাম যা হয়েছে তাতে ঠাকুর বানিয়েও সঠিক দাম পাচ্ছি না। কম দামে ঠাকুর বিক্রি করছে হচ্ছে। এতেই আমাদের সংসার চলে। এর উপর নির্ভর করে ছেলে মেয়ের পড়াশুনা সবই এই কাজের উপর নির্ভর করে চলে। কিন্তু এবছর করোনার আবহে কোন ঠাকুরের চাহিদা নেই। ফলে সংসার চলছে না এখন কি ভাবে সংসার চলবে তাই ভেবে পাচ্ছি না।
শিল্পীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কিন্তু মহামারীতে এমন দুরবস্থা তাদের যে এখন কী করবেন তারা বুঝতে পারছেন না। সরকার থেকে সাহায্যও পাচ্ছেন না তারা এমনটাই অভিযোগ মৃতশিল্পীদের।