অবতক খবর,২৮ আগস্ট: বিগত কয়েকদিন ধরে আমরা আমাদের পোর্টালের মাধ্যমে তুলে ধরছি বীজপুর তথা কাঁচরাপাড়া-হালিশহরের বেআইনি কার্যকলাপের সংবাদ। কাঁচরাপাড়া ২১ নং ওয়ার্ডে বেশ কিছুদিন আগেই মতুয়া সম্প্রদায়ের হরিচন্দ,গুরুচন্দ মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারী।

এই মন্দিরটি অবস্থিত রেলের জমিতে। মন্দির সংলগ্ন অনেকটা জমিই ফাঁকা। বিকেল হলেই সেখানে স্থানীয় শিশুরা খেলাধুলা করত। বেশ খোলামেলা জায়গা হওয়ায় এবং মন্দিরের জন্য এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়েছিল স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে।

কিন্তু এই সুন্দর জায়গাটিও এবার দখল হয়ে গেল। সেখানে বেআইনিভাবে গড়ে উঠছে একের পর এক ঘরবাড়ি, দোকান। আর এইসবের পেছনে নাম উঠে আসছে সন্তোষ কুর্মি(এস.টি) নামে এক ব্যক্তির। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন,ওই ব্যক্তি ৩-৪ লক্ষ টাকা নিচ্ছেন ঘর ও দোকানের জন্য।

এই প্রসঙ্গে স্থানীয়রা বলেন,’মন্দির তৈরি হওয়ার পর আমরা ভেবেছিলাম এক সুস্থ,সুন্দর পরিবেশ আমরা পেয়েছি। কিন্তু না, আমাদের সেই চিন্তায় জল ঢেলে দিল ওই ব্যক্তি। মন্দিরের সামনে আগাছার মত গজিয়ে উঠছে একের পর এক টিনের ঘর। এখন বোঝা যাচ্ছে মন্দির তৈরির আসল উদ্দেশ্য। এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে মন্দির তৈরি করার পেছনে ছিল গোটা এলাকা দখল করার পরিকল্পনা। সেটা এখন আমরা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি।’

স্থানীয়রা জানান যে, যেহেতু সেটি রেলের জমি,তাই তারা এই বিষয়ে আরপিএফের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও তাদের খালি হাতে ফিরে আসতে হয়।

কিন্তু এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন যে,এতে আরপিএফেরও ভাগ রয়েছে। তাই তারা এই বেআইনি কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন এবং সেখানে থেকে টাকা আদায় করছেন।