অবতক খবর,৫ এপ্রিল: সুবিশাল ভারতবর্ষ। তার উত্তরে হিমালয়, দক্ষিণে মহাসাগর। পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল বৃহত্তম রাষ্ট্র ভারতবর্ষ । সেই রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দাস মোদী আবেদন করেছিলেন, আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতির কাছে যে,আমরা করোনা যুদ্ধে একতাবদ্ধ ও সংহতি জ্ঞাপনের জন্য ৫ এপ্রিল রাত নটায়,নয় মিনিট আলোর উৎসবে মেতে উঠবো। আমরা মোমবাতি দিয়া বা প্রদীপ, টর্চলাইট অথবা মোবাইলের আলো জ্বালব। আলোর দিকে আমাদের যাত্রা। করোনা যে অন্ধকার এনে দিয়েছে তার বিরুদ্ধে আমাদের এই আলোর অভিযাত্রা।

তিনি বার বার আবেদন করেছিলেন। ‌কিন্তু এই উৎসব আজ যুগ্ম দূষণের উৎসবে পরিণত হল। মোমবাতি, প্রদীপের আলো তো জ্বললই, বায়ুমণ্ডলে এ কদিন যে দূষণের মাত্রা কমে গিয়েছিল তা পূর্ণ করল মোমবাতি, প্রদীপের আলো জ্বলনের সাথে সাথে উদ্ভূত কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং মনোক্সাইড।

অদ্ভুত রকম ভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে, অনুরোধকে পদদলিত করে বিজেপি কর্মীরা তার সঙ্গে বাজির উৎসবে মেতে উঠলো। ব্যাপক আওয়াজে বোমা ফাটল, ক্র্যাকার ফাটলো। যেন এক যুদ্ধ বিজয়ের উৎসব। এই বাজির আওয়াজে শব্দদূষণ তো হলোই, তার সঙ্গে যে দূষিত গ্যাসের সৃষ্টি হল তা বায়ুমন্ডলে মিশল। অর্থাৎ শব্দ দূষণ এবং আলো থেকে উৎসারিত গ্যাসের দূষণে বায়ুমণ্ডল পরিপূর্ণ হল। আবার কোথাও কোথাও উড়লো ফানুস। আজ কী আনন্দ আকাশে বাতাসে! কাঁচরাপাড়া অঞ্চলে স্ট্রিট লাইট ৯ মিনিট বন্ধ রাখা হলো।বাড়ি বাড়ি ছাদে জ্বললো সারি সারি মোমবাতি, প্রদীপ শিখা।

জানিনা এই সমস্ত গ্যাস নিয়ে ফানুসের চড়ে উড়ে গেল কিনা করোনা সুন্দরী। সারা বীজপুরে আজ দেখা গেল এই আলো ও শব্দের যুগ্ম উৎসবের প্রেত নৃত্য।

আমরা কোথায় চলেছি? এই দুঃসময়ে আমরা সংহতি জ্ঞাপনের নামে নেমেছি প্রেত নৃত্যের উৎসবে। এ জাতি কোথায় যাবে কতদূর যাবে?