নরেশ ভকত :: অবতক খবর :: বাঁকুড়া ::    করোনা ভাইরাসের সন্দেহে কোতুলপুর থানার অন্তগর্ত রাধামাধবপুর গ্রামে ব্যাপকভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর থানার অন্তগর্ত লাউগ্রামের রাধামাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা সুনীল ঘোষালের বাড়িতে  নিয়ে আসেন তার শ্বশুর শ্বাশুড়িকে চোখের অপারেশন করানোর জন্য। একেই সারা বিশ্ব জুড়ে মহামারী ঠেকাতে লকডাউন চলছে। জেলার শেষ সীমানা লক করা হয়েছে। এক জেলা থেকে অন্য জেলা যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার  আশঙ্কায় অন্য কোন জায়গার মানুষকে নিজেদের গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না গ্রামের বাসিন্দারা। ফলে সুনীল বাবুর শ্বশুর শ্বাশুড়িকে গ্রামে ঢুকায় বাধা দেওয়ায় গ্রামবাসীর সঙ্গে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয় বলে জানান সুনীল ঘোষাল ও তার দাদা রণজিৎ ঘোষাল।
সুনীল বাবু বলেন, তিনি তার শ্বশুর শ্বাশুড়িকে নিয়ে আসেন চোখের অপারেশন করানোর জন্য। শ্বশুর শ্বাশুড়িকে দেখাশুনার মতো কেউ নেই একমাত্র সুনীল বাবু ছাড়া। দু চারদিন ধরে চোখের অসুবিধা হচ্ছিলো। চোখের অপারেশন করানোর জন্য এখানে নিয়ে আসা হয়। শ্বশুরকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীরা বলে ওদের করোনা হয়েছে বলে ওরা ডাক্তার দেখাতে এসেছে। ওদের এখানে রাখা যাবেনা, ওই জন্য ঝামেলা করছে। আজ আমাকে গালাগালি করে এমনকি মারধোরও করে।
সুনীল বাবুর দাদা রণজিৎ ঘোষাল বলেন, ভাইএর শ্বশুর এসেছিল চোখের অপারেশন করানোর জন্য। কিন্তু গ্রামের মানুষ বলছে ওর করোনা হয়েছে। তাই ওদের এই-মূহুর্তে বাড়িতে দিয়ে এসো। রণজিৎ বাবু বলেন এই-মূহুর্তে বাড়িতে পাঠানো সম্ভব নয় বলতেই ওরা মারধোর শুরু করে দেয়। মেরে আমার কপাল ও ভাই এর নাক ফাটিয়ে দেয়।