অবতক খবর,২৩ মার্চ: আজ মিড ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বন্টন করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেহেতু করোনা পরিস্থিতি একটি ভয়ঙ্কর পর্যায়ে চলে এসেছে এবং আগামীকাল থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন হয়ে যাবে এই অঞ্চল সেহেতু আজকেই তা বিলি বন্টনের ব্যবস্থা করা হয়।
কাঁচরাপাড়ার মোট ১৪টি হাই স্কুল রয়েছে। তারমধ্যে ৪টি স্কুল বাদে,বাকি স্কুলে এই বিলিবন্টন করা হয় এবং এর সঙ্গে আজ প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরও মিড ডে মিলের জিনিসপত্র বন্টন করা হয়। এমন অভিযোগ উঠে এসেছে যে বন্টন ব্যবস্থা যথাযথ হয়নি। অভিভাবকদের অভিযোগ, সব স্কুলে যত শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের সংখ্যামাফিক জিনিসপত্র বন্টন করা হয়নি। বরাদ্দ ছিল ছাত্র পিছু দু কেজি চাল, দু কেজি আলু এবং এগুলো সংগ্রহ করবেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক-অভিভাবিকারা।
আরও একটি অভিযোগ এসেছে যে, এই বন্টন অভিভাবক অভিভাবিকাদের হাতেই তুলে দেওয়া হবে, ছাত্র-ছাত্রীদের আসার প্রয়োজন নেই। তা সত্বেও দেখা গেছে, সরকারি নিয়ম নির্দেশ ভঙ্গ করে ছাত্র-ছাত্রীরাও এসেছে। আর বিলিবন্টনও যথাযথভাবে হয়নি। কোনো কোনো স্কুলে অদ্ভুত রকম বিলিবন্টন হয়েছে। চাল আছে তো আলু নেই। আবার কোথাও আলু কম পড়ে গেছে। কোথাও এটাও হয়েছে যে চালের পরিমাণ বেশি। আবার এমনটাও ধরা পড়েছে যে, স্কুলগুলিতে মালই আসেনি। অভিভাবক-অভিভাবিকারা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। পাঁচটা বেজে গেছে তারা বাড়ি চলে গেছেন। কারণ কথা ছিল বিকেল পাঁচটা পর্যন্তই বিলিবণ্টন হবে।
অনেক স্কুলকে নিজের দায়িত্বে নিজেদের তহবিল থেকে টাকা খরচ করে শেষ পর্যন্ত চাল,আলু কিনে আনতে হয়েছে। এই নিয়ে বিশাল দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক-অভিভাবিকারাও খুবই নাজেহাল হয়েছেন এবং তারা সকলেই খালি হাতে ফিরে এসেছেন। এমন একটা পরিস্থিতি কাঁচরাপাড়ায় তৈরি হয়েছে। ফলত শিক্ষা ব্যবস্থায় মিড ডে মিল বিলিবন্টন নিয়ে এই দুর্যোগের সময় কাঁচরাপাড়ার মুখে একটা কালিমা লেপন হল। অদ্ভুতভাবে দেখা গেছে,ট্রেন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও অনেক অভিভাবক কি করে এলো কিভাবে তারা এই বিলি বন্টনের মধ্যে যুক্ত হয়ে গেল,এমনও অভিযোগ পাওয়া গেছে।এই দুর্নীতির কথা শিক্ষামহলের উচ্চস্তরে গিয়ে পৌঁছেছে ইতিমধ্যে।