অবতক খবর,১১ মার্চ: কাঁচরাপাড়াকে বদনাম করার চেষ্টা করছে কারা? শহরাঞ্চলে দেখা যাচ্ছে রাতের অন্ধকারে একের পর এক মনোপল গড়ে উঠছে। এই মনোপল বসানোর অনুমতি কারা দিচ্ছে? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। যে ফুটপাতে মানুষ চলাফেরা করে, সেই জায়গা ভেঙে মনোবল গড়ে উঠেছে। আর এতেই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। তারা বিধায়কের কাছে অনুরোধ করেছেন, তিনি যাতে এই বিষয়টির দিকে নজর দেন। তবে বিধায়কের বক্তব্যের মধ্যে বারবার উঠে এসেছে যে তারা উন্নয়ন করবেন,রাস্তা চওড়া হবে,ঝকঝকে আলো হবে। কিন্তু কাঁচরাপাড়া সাধারণ মানুষ মনে করছেন যে, বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে কালিমালিপ্ত করতেই করা হচ্ছে এই কাজ। আর দুই একদিনের মধ্যেই কাঁচরাপাড়া পৌরসভায় বোর্ড গঠন হবে। আর তাঁর বদনামের জন্যই এই সকল কাজ করছে কিছু মানুষ। অদ্ভুত একটা পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে এই বীজপুরে।
একের পর এক মনোপল বসে যাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের চলাফেরা করতে অত্যন্ত সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে মানুষ বলছেন,এই মনোপলের জন্য যখন তখন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এই মনোপলের ইলেকট্রিকের তার গুলিকে যেভাবে পেচিয়ে এক জায়গায় রাখা হয়েছে তাতে যদি একটা শর্টসার্কিট হয় তাহলে এই সমস্ত কিছুতে আগুন ধরে যাবে।
শহরবাসী বিধায়ককে এই বিষয়ে একটু বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। কারণ একেই তো চলাফেরার ফুটপাত ছোট, এই মনোপলের কারণে রাস্তা আরো ছোট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা যখন কাঁচরাপাড়া পৌরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ম্যানেজার সুব্রত হালদারকে ফোন করলে তিনি জানান, তিনি নাকি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে সে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। বিদ্যুৎ বিভাগ তারাও বলছেন যে তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
অর্থাৎ পুরসভা বা ইলেকট্রিক বিভাগ কেউই কিছু জানেনা এই বিষয়ে। এরকম অদ্ভুত একটি পরিস্থিতি চলছে বীজপুর তথা কাঁচরাপাড়া শহরে। তবে কি ইচ্ছাকৃতভাবে এই শহরকে বদনাম করার জন্যই চলছে এই চক্রান্ত? নাকি বীজপুরে কোন মাফিয়া রাজ কায়েম হতে চলেছে?
এইসব দেখে নগর প্রশাসন এবং বিদ্যুৎ বিভাগ নাকে নস্যি টেনে ঘুমোচ্ছে, বলছেন সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, কাঁচরাপাড়া পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারকে বিষয়টি নিয়ে ফোন করলে তিনিও সাফ জানিয়ে দেন যে তিনিও নাকি এই বিষয়টি কিছু জানেন না।