অবতক খবর,৪ মার্চ:: পৌর নির্বাচন শেষ। বাতাসে ঝড় তুলে কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূল দল বিরোধীদের সম্পূর্ণ সাফ করে দিয়ে ২৪শে ২৪। অর্থাৎ কাঁচরাপাড়া পৌরসভা পুরোপুরি শাসকদল অন্তর্ভূক্ত তৃণমূল দলের অধীন। এখন প্রশ্ন, কাঁচরাপাড়া পৌরসভার পৌর প্রধান হবেন কে? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কাঁচরাপাড়ার নাগরিকদের মধ্যে তুমুল আলোড়ন উঠেছে এবং আলোচনা চলছে। অবতক অঞ্চলে ঘুরে যা বুঝতে পারছে যে এখন জনগণের মধ্যে প্রশ্ন উঠে গেছে কে হবেন কাঁচরাপাড়ার চেয়ারম্যান?
রাজনৈতিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে কাঁচরাপাড়ার ২৪ জন কাউন্সিলরের ৭ জনের মধ্যে এমন ৩ জন কাউন্সিলর রয়েছেন যাদের সরাসরি বলা যেতে পারে যে তারা শুভ্রাংশুপন্থী অর্থাৎ পার্থ ভৌমিকপন্থী। বাকি চারজন ঢেকি খেলায় অভ্যস্ত। তারা কোনদিকে আছেন, এক কথায় তারা ব্যালেন্সের খেলা খেলবেন।
বাকি ১৭ জন কাউন্সিলর,এরা চাইছেন চেয়ারম্যান পদে কমল অধিকারীকে। এছাড়া কিছু বরিষ্ঠ নেতা, আমরা নাম উল্লেখ করছি না তারাও চাইছেন কমল অধিকারী চেয়ারম্যান।
অন্যদিকেব রিষ্ঠ ৩ নেতা যারা টিকিট পাননি বিভিন্ন কারণে,যথা বয়স জনিত এবং অন্যান্য কারণে তারা শুভ্রাংশু রায়কে চাইছেন চেয়ারম্যান পদে।
৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে তিনজন সরাসরি শুভ্রাংশু পন্থী বলে চিহ্নিত। ৪ জন ব্যালেন্সের খেলা খেলবেন বলে রাজনৈতিক মহলের খবর। অর্থাৎ বাকি ১৭ জন কমল অধিকারীকে চেয়ারম্যান হিসেবে চাইছেন। ফলত, কাঁচরাপাড়া এর চেয়ারম্যান কে হবেন, এ নিয়ে জনমতের মধ্যে একটি ফারাক দেখা দিচ্ছে। অন্যদিকে শুভ্রাংশুপন্থীদের জেলা ভিত্তিক প্রভাব রয়েছে এটাও রাজনৈতিক সূত্রের খবর। যদি সেই প্রভাব বিস্তার করতে কমল অধিকারী পন্থীরা ততটা সক্রিয় হতে পারবেন না। তবে যদি ভোটাভুটির পর্যায়ে চেয়ারম্যান পদটি চলে আসে তাহলে সেটি নিশ্চিতভাবে কমল অধিকারীর পক্ষে যাবে।
জেলা নেতৃত্ব এই ক্ষেত্রে কি করবেন এটি একটি বিশেষ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে মনে করেন যেহেতু পৌরসভা একটা নাগরিক পরিষেবা,সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরদেরই মর্যাদা দেওয়া উচিত, না হলে পরবর্তীতে পৌরসভা চললেও সুষ্ঠুভাবে চলতে পারবে না। কারণ একটি গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলত এই বিষয়টিকে অর্থাৎ নাগরিক পরিষেবাকে প্রাধান্য দিতে উচ্চ নেতৃত্ব কি ব্যবস্থা নেন, সেদিকে কাঁচরাপাড়াবাসী তাকিয়ে রয়েছেন।
তাদের প্রশ্ন দলবদলে দক্ষ, সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে বারংবার ব্যক্তি দলে প্রাধান্য পাবেন কেন, মানুষের মধ্যে নিশ্চিত ভালো বার্তা যাবে না।