অবতক খবর,১৮ই ডিসেম্বর: কাঁচরাপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বেআইনিভাবে ২৫ কাঠার একটি পুকুর বেআইনিভাবে ভরাট হচ্ছে এবং যারা ভরাট করছে তারা কৌশলী কায়দা নিয়েছে। তারা ক্রমে ক্রমে ভরাট করছে এবং প্লট হিসেবে জমি বিক্রি করছে। সেই জমিতে ব্যারিকেড দিয়ে চার লাখ, পাঁচ লাখ টাকায় জমি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের প্রতিবেশীরা বারংবার অন্ততপক্ষে প্রশাসনের সাতটি জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
কাঁচরাপাড়া পৌরসভা, বীজপুর থানা, জেলাস্তরে। কিন্তু প্রশাসনিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এর কারণ কি? কাদের স্বার্থ রয়েছে? কি কারণে এইভাবে জলা জমি ভরাট করে বিক্রি করা হচ্ছে? কারা সাহস পাচ্ছে? নিশ্চিতভাবে শাসকদলের এতে মদত রয়েছে। সোজা বাংলায় এখানে একটা কামাইবাজির ব্যবস্থা রয়েছে।
একদিকে মা-মাটি-মানুষ জনগণের স্বার্থে সরকার চালাবো বলে ওয়াদা নেব আর ক্রমান্বয়ে বে-আইনি ঘটনা ঘটতে থাকবে। স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় শাসক দলকে জানানো সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেবে না,এই অবস্থা কতদিন চলতে পারে?
এই ব্যাপারে ৭ ওয়ার্ডে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে ওয়ার্ডবাসীরা খুবই বীতশ্রদ্ধ। কিন্তু মানুষ তো চায় একটা আশ্রয়, রাজনৈতিক আশ্রয়। এখন পুরো ব্যাপারটাই রাজনৈতিক অবস্থার দিকে চলে গেছে। ফলত তারা ভীতসন্ত্রস্ত, তারা কিছুই করতে পারছে না। কিন্তু এই অঞ্চলে এই পুকুরটি ভরাট হয়ে চলেছে।
এই পুকুরটির আসল মালিকানা নদীয়ার চাঁদপালের হাতে। তিনি এই জমির মালিক। এই জমির মালিকানা হস্তান্তর হয়েছে গোবিন্দ সাহা এবং পর্যায়ক্রমে নারায়ণ সাহা এর দায়িত্বে রয়েছেন।
প্রশাসনিকভাবে স্থানীয় অধিবাসীরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। জনগণের সরকার অর্থাৎ যারা মা-মাটি-মানুষের সরকার বলে মনে করেন,তো এইভাবে কি অবৈধ কাজ চলতে থাকবে? চলতে পারে? এটাই এখন স্থানীয় নাগরিকদের প্রশ্ন। অন্যদিকে তারা অভিযোগ দায়ের করেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তার লিখিত অভিযোগ রয়েছে আমাদের কাছে। কিন্তু তারা সরব সোচ্চার হতে পারছেন না রাজনৈতিক ভয়, আতঙ্ক, সন্ত্রাসের কারণে।
শেষ পর্যন্ত এই কাজের দায়িত্ব পড়ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উপর। সংবাদপত্রের কাজ হচ্ছে সংবাদ পরিবেশন করা। কিন্তু সামাজিক সংস্কার করা তো সংবাদপত্রের দায়িত্ব নয়। জনস্বার্থেই আমরা এই সংবাদটি আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।
সম্প্রতি আমাদের সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে মানুষ দেখেছেন জেঠিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের যে পুকুর ভরাট হয়েছে এবং সেটি পুনরুদ্ধারের দায়িত্বে রয়েছেন সুবোধ অধিকারী এবং পার্থ ভৌমিক। তারা চাইছেন সুবোধ অধিকারী এবং পার্থ ভৌমিক সক্রিয় হয়ে রাজনৈতিকভাবে এই পুকুরটির পুনরুদ্ধার করুক। কারণ এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে অর্থাৎ ব্যাপকভাবে জনগণের সহায়ক হবে। তাহলে এই যে এই সরকার, জনগণের সরকার সেটাই প্রমাণিত হবে।
দীর্ঘ পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হতে চলল,তারা প্রশাসনের উপরে,রাজনৈতিক দলের উপরে নির্ভর করেছিলেন। কিন্তু তারা এখন সরাসরি এই অঞ্চলে যে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে সেই তৃণমূল দলের উপরই তারা নির্ভর করতে চাইছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।