অবতক খবর,৪ ডিসেম্বর: কাঁচরাপাড়া ক্যাচরা শহরে পরিণত হতে চলেছে। কাঁচরাপাড়াকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ দুটি ছড়া লিখেছেন। সেই কাঁচরাপাড়া শহরের জনজীবন আজ বিপন্ন। কাঁচরাপাড়া শহরের মূল সড়ক কবিগুরু রবীন্দ্র পথ, যেখান থেকে মূল ডিভাইডার শুরু হয়েছে, সেই ডিভাইডারের সম্মুখে ভূমিপুত্র ঈশ্বরগুপ্তর মূর্তি বসানোর আবেদন করা হয়েছিল পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে মূর্তি সেখানে বসবে। এ বিষয়ে পৌর প্রধান সুদামা রায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন এই কাজটি তিনি করে দেবেন। দেখা যাচ্ছে সেই অঞ্চলে বেআইনিভাবে দোকান নির্মিত হয়েছে। উল্লেখ্য গান্ধীমোড় সংলগ্ন ডিভাইডারের কাছেও এমন একটি খাবারের দোকান তৈরি হয়েছে।
মূল সড়কের উপর মধ্যস্থলে গ্যাস সিলিন্ডার জ্বালিয়ে রান্নার ব্যবস্থা, খাওয়া-দাওয়ার স্টল তৈরি করা হয়েছে। শহরের ফুটপাতগুলি দখলদারির দিকে চলে যাচ্ছে। এদিকে পৌরপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে,এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকেও আমাদের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। তিনি স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন এবং তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যানজট এবং পথ চলাচলের একটা সুরাহা করবেন।
অন্যদিকে রেল অধ্যুষিত বাবু ব্লক অঞ্চলে শাসক শ্রেণীর কর্মীদের সক্রিয়তায় বনগাঁ রোডের দুই দিক দখলদারি হয়ে দোকানপাট হয়ে গেছে। এদিকে এই নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাইবাজির খেলা চলছে বলে সূত্রের খবর।
নগর প্রশাসন,থানা প্রশাসন মনে হচ্ছে ঘুমিয়ে আছেন। শহরের জীবনযাত্রা বিপদাপন্ন। এইভাবে যে দখলদারি চলছে তার মূলে রয়েছে শাসকদলের আশ্রয়পুষ্ট মস্তান বাহিনী। শাসকদলের অনেক বরিষ্ঠ নেতা জানালেন যে, এখানে দলের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। কে প্রকৃত নেতা এটা বোঝা কঠিন। এখানে সকলেই নেতা। ফলে একটা বিশৃঙ্খলার অবস্থা তৈরি হয়েছে। এখানে তৃণমূল দলের গোষ্ঠী বিভাজন রয়েছে। যে যেদিকে পারছে সেই দিক থেকেই কামাইয়ের দীর্ঘ হাতটি প্রসারিত করছে।
কয়েকজন বরিষ্ঠ নেতা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) তারা রীতিমতো স্বীকার করেন যে,সিপিএম দল যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও এটা একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল। কারণ তাদের নির্দিষ্ট নেতা ছিল। এখানে কোন নির্দিষ্ট নেতা নেই। সুতরাং যে যেখানে পারছে সেখানেই তারা কামাই বাজির হাত বাড়াচ্ছে। এখানে কিছু করার নেই, সবাই তৃণমূল কর্মী। সুতরাং তৃণমূলের বরিষ্ঠ নেতা হলেও আমাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, একসময় দেখবেন গান্ধী মোড় অঞ্চল পর্যন্ত দখল হয়ে গিয়েছে। গাড়ি-ঘোড়া চলছে যা লোকের গা ঘেঁষে চলছে। এমনই এক অবস্থার দিকে চলে যাবে এই শহর। তাদের তির্যক মন্তব্য নিয়ে তারা নিজেরাই হাসাহাসি করেন। কে নিয়ন্ত্রণ করবে এই শহর? যারা চালাচ্ছেন তারাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এই শহরটির ভবিষ্যৎ নিয়ে।