অবতক খবর,৯ ফেব্রুয়ারি : অবশেষে কাঁথি আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী। প্রসঙ্গত, কাঁথির অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। প্রথমে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁকে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিল। আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত। এরপর চলতি মাসের ৬ তারিখই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে। প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়েন মূল অভিযুক্ত। প্রধান বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করেন, “২০ জানুয়ারি সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে আপনারা বলেছিলেন, যে অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করবেন, আর এখানে আগাম জামিনের আবেদন করছেন! দুই আদালতে আপনাদের অবস্থান দু’রকম কেন ?” গত ৩১ জানুয়ারিই এই মামলার শুনানি শেষ হয়ে যায়। ৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। কাঁথিরই এক নাবালিকাকে দিঘাতে নিয়ে গিয়ে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। পরে ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ ওঠে। গত ১০ জানুয়ারি কাঁথি থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তৃণমূল ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নাবালিকার বাবা। বিচারপতির রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি কাঁথির তদন্তকারী অফিসারকে ভর্ৎসনা করেন। তিনি অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে তাঁরা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। পরে তাও খারিজ হয়ে যায়।