অবতক খবর, সংবাদদাতা , মালদা :- কালিয়াচক-‌হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ কালিয়াচকে নিজেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে থাকেন। যুগ যুগ তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অনুষ্ঠান করে আসছেন। উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকে। জেলা যা বিরল। হিন্দুরা যেমন দুর্গাপুজো করে থাকে নিষ্ঠার সঙ্গে, তেমনই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নিষ্ঠার সঙ্গে ইদ, মহরম করে থাকেন। তাঁদের উৎসাহিত করতে এই বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয় রবিবার।

জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্যোগে কালিয়াচক থানা ও পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালনায় বিডিও অফিস সংলগ্ন সদ্ভাব কমিউনিটি হলে হয়ে গেল এই অনুষ্ঠান। শারদীয়ার সঙ্গে ইদ ও মহরম কমিটিগুলিকেও সম্মান দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৩ করোনা যোদ্ধাকেও সম্মানিত করা হয় এদিন। তাঁরা হলেন কালিয়াচক থানার আইসি আশিস দাস, কালিয়াচক-‌১ ব্লকের বিদায়ী বিডিও সন্দীপ ঘোষ এবং সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার পারভেজ আলম। এই অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল কালিয়াচক-‌১ পঞ্চায়েত সমিতি।

গত বছরের ইদ-‌শারদ-‌মহরম সম্প্রীতি সম্মান এদিন প্রদান করা হয়। জানা গেছে, মোট ৩৩টি পুরস্কার এদিন দেওয়া হয়। ১৯টি দুর্গাপুজো কমিটিকে সম্মানিত করা হয়েছে। তাতে ৫ লাখের মধ্যে বাজেটের মধ্যে প্রতিমায় সেরা শেরশাহী সর্বজনীনের পুজো। মন্ডপে সেরা আলিনগর অগ্রদূত ক্লাব, আলোকসজ্জায় বাহাদুরপুর সর্বজনীন এবং বিশেষ পুরস্কার পায় সিলামপুর সর্বজনীনের পুজো। আবার সব থেকে কম বাজেটের পুজোর মধ্যে সেরা হয় কালিয়াচক থানাপাড়ার পুজো।

সর্বোচ্চ বাজেটের পুজোয় সেরা জালালপুর সর্বজনীনের পুজো। অন্যদিকে মহরমে সম্মানিত হয় ঘাড়িয়ালিচক, মাড়োয়াবাদী মহরম কমিটি -‌সহ অন্য কমিটি। এবং ইদে সম্মানিত হয় নয়মৌজা ইদগাহ কমিটি, ঘাড়িয়ালিচক জামে মসজিদ। এদিন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কালিচক-‌১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আতিউর রহমান, বিদায়ী বিডিও সন্দীপ ঘোষ, কালিয়াচক থানার আইসি আশিস দাস, এমও পারভেজ আলম প্রমুখ। এদিন আইসি আশিস দাস বলেন, ‘‌এদিনের উৎসব সম্প্রীতির উৎসবে পরিণত হয়েছে। কালিয়াচকে মোট ৭৬টি দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ৩৩টি মসজিদ মহরমে অংশ নিয়ে থাকে। করোনা জয়ী ৩ জন-‌সহ মোট ৩৩টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে