অবতক খবর,১৯ ফেব্রুয়ারি: কাঁচরাপাড়া পৌরসভার অন্তর্গত ৬ নম্বর ওয়ার্ড একটি উল্লেখযোগ্য ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে শাসক দলের প্রার্থী প্রাক্তন বিধায়ক এবং ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে পরাজিত শুভ্রাংশু রায়। তিনি এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত দুবারের কাউন্সিলর। এবারের নির্বাচনেও তাঁকে মূল মুখ করেছে তৃণমূল দল। যদিও তিনি দলবদল করে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য প্রার্থী কাঁচরাপাড়া টাউন কংগ্রেসের সভাপতি তাপস সিনহা।

বীজপুর পৌরসভা অঞ্চলে কাঁচরাপাড়ায় কংগ্রেস ৩ জন প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। ১,৬ এবং ৮ নং ওয়ার্ডে। কংগ্রেসের শক্তি সম্পর্কে এই অঞ্চলের মানুষ নিশ্চিত সন্দিহান। এই অঞ্চলে তারা একটু ক্ষয়িষ্ণু দল। তা সত্ত্বেও এই নির্বাচনে কংগ্রেস হালিশহরের ৪টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে।

 

কাঁচরাপাড়া ৬ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী তাপস সিনহা জানান, তিনি সর্বতভাবে প্রতিযোগীর মনোভাব নিয়ে ময়দানে নেমেছেন। ‌তিনি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এবং সাড়া পাচ্ছেন। এই অঞ্চলে হিন্দি ভাষাভাষী মানুষেরা রয়েছেন। এদিক থেকে বর্তমানে যে রাজনৈতিক কৌশল সেই হিসেবে তিনি একটু সুবিধা পেতে পারেন। তিনি বলেন যে, এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের দল ছোট হলেও এই করোনাকালে আমি মানুষের পাশে সর্বতোভাবে দাঁড়িয়েছি, যতদূর পারি চেষ্টা করেছি। সব করে দিতে পারিনি তবে মানুষের পাশে থেকেছি। আমার প্রশ্ন, এই করোনাকালীন পিরিয়ডে যিনি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিধায়ক ছিলেন, তিনি কি কিছু করেছেন? তার কি কোন উদাহরণ তিনি দিতে পারবেন? এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি জনপ্রতিনিধি ছিলেন। কিন্তু তাঁর সাক্ষাৎকার প্রার্থনা করে লোককে ঘন্টার পর ঘন্টা কি বলবো দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মানুষ এই প্রশ্নটিই আমাকে করছেন, আপনি যদি জয়ী হন তাহলে আপনারও কি এমন চরিত্র হবে? এই প্রশ্নের কি জবাব দেবো আমি জানিনা। তবে আমি জানাই যে, সাধারণ মানুষের জন্য আমার দুয়ার উন্মুক্ত থাকবে। সামান্য ছোট্ট একটা ওয়ার্ড,ওয়ার্ডের প্রত্যেকটা মানুষের পাশে আমি দাঁড়াতে পারবো না, তাদের পাশে আমি থাকবো না এমন হতে পারে না। আমি চাইছি আমার উপর বিশ্বাস রেখে তারা আমাকে ভোট দিতে পারেন।

 

লোকে এমন বলে যে, নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা আসে দুয়ারে দুয়ারে। আমিও দুয়ারে দুয়ারে আসছি, ভোটের প্রচারের জন্য নয়, সকলেই বলে আমরা ভোট প্রচারে এসেছি, আমাকে ভোটটি দেবেন। আমি সোজাসুজি বলতে চাই আমি ভোটের প্রচারেও এসেছি এবং হাতজোড় করে ভোট ভিক্ষা করছি আমি। আপনাদের কাছ থেকে যে ভোট ভিক্ষা চাইছি এটা বলতে আমার কোন দ্বিধা নেই। জনগণের দুয়ারের যখন যাচ্ছি তার কাছ থেকে যখন কিছু চাইছি সেটা ভিক্ষা ছাড়া আর কি হতে পারে! অনেকে ভোট ভিখারী বলে ব্যঙ্গ করে থাকেন,হ্যাঁ জনস্বার্থে আমি ভোট ভিখারী হতে রাজি আছি।