আজ প্রমিজ ডে। প্রেমিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।তার চেয়ে বড় কথা রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু প্রেমিক কথা রাখতে পারেনি। রাষ্ট্র কথা রাখতে পারেনা। প্রতিশ্রুতি খেলাপ করা তার মজ্জাগত
কেউ কথা রাখেনা
তমাল সাহা
কেউ কথা রাখেনি
আমি কি কথা রেখেছি?
কেউই কথা রাখেনা।
কবিতায় নস্টালজিক হওয়া যায়
সব শব্দই আছে অভিধানের পাতায়
প্রয়োগ নৈপুণ্যে বসিয়ে দিলেই
কবিতা হয়ে যায়!
কে রথের মেলা দেখাবে, ভেঁপু কিনে দেবে, ভালোবাসবে গোপনে
সেই আশায় বসে আছে মানুষ
আদিম কাল থেকে সেইক্ষণে।
সবাই সবকিছু দেখাবে ম্যাজিকের মতো,
কেউ বলেনি কবে দেবে
ভাত রোটি কাপড়া মকান!
তবু ভোট দিয়ে আমরা খুলে রাখি রাষ্ট্রীয় দোকান।
কার বুকে কোথায় রুমাল ছোঁয়ালে
কমলা লেবুর গন্ধ পাওয়া যায়
সকলেই জানে।
রয়েল গুলি, মাছ লজেন্স পাওয়া যায় মনোহারী দোকানে।
এ নিয়ে কবিতা লেখার হয় কোনো মানে?
গ্রাম ছোট, তার চেয়ে জমিদার ছোট হলেও অত্যাচার বেড়ে যায় বলেছিলেন শরৎ চাটুজ্যে।আর কত অত্যাচার দেখাবে তুমি
ভারত পাড়ায়?
একতারা হাতে যে বাউল জীবনের গূঢ়তত্ত্বের গান শোনাবে বলেছিল
তার লাশ এখন ডিটেনশন শিবিরে ঘুমায়।
ভরা অমাবস্যায় ডুবে গেছে চাঁদ
চতুর্দিকে দিকে পড়ে আছে নিহত প্রাণ
বাতাস শুধু গায় শোকাহত গান।
রাষ্ট্র নিজেই আখের গোছাতে ব্যস্ত
কি করে ভাবছো তুমি তোমাকে দেবে সমস্ত!
তিয়াত্তর বছর পার হয়ে যায়
কেউ কখনো বলেনি,আমিও জানি না
ভালোবাসা ও ভাত কোথায় পাওয়া যায়?