কে কাকে চোখ রাঙায়! এবার পার্শ্ব শিক্ষকদের শো কজের নির্দেশনামা জারি করল সরকার। সরকার এবং শিক্ষক এখন মুখোমুখি লড়াইয়ে।
কে কাকে দেখায় রক্তচক্ষু
তমাল সাহা
হেমন্ত চলে গেল– নবান্নের মাস।
এখনও আমাদের পথে অবস্থান উপবাস।
শীত এলো, সারারাত ঠান্ডা মাখি গায়।
শাসক আমাদের দেখে—
খুব তেল হয়েছে, লাল চোখ রাঙায়।
ভোটের আগে শাসকের কত হাতজোড়
যেন ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না।
এখন মসনদ পেয়ে বেড়ে গেছে তাকত
মা-মাটি-মানুষকেই মানে না।
হিম্মত দেখায়। আন্দোলন কেন?
নির্দেশ জারি শো কজ
আমরা ভোট না দিলে থাকতি কোথায়?
রাজনীতি ছেড়ে করতে হতো হজ।
তোর নাচন কোঁদনই সার!
শো কজের কাগজ দিয়ে
ঠোঙা বানাবো এবার,
দেবোনা কোনো আনসার।
দেখি কী করতে পারিস তুই?
আমাদের অস্ত্র শুধু জনতার দরবার।
শোন্ ! কান খুলে শোন্
শাসকের দুটি মাত্র চোখ,
কত হবে আর লাল!
আমাদের আটচল্লিশ দ্বিগুণ চোখ
যদি রাঙাই নেমে আসে মহাকাল।
এবার তো মুখোমুখি লড়াই।
দেয়ালে পিঠ গেছে ঠেকে!
ন্যাংটার নেই বাটপারে ভয়
দুর্বার দুর্জয় আমাদের কে রোখে?
শীত গেলে বসন্তের আর কত দেরি?
অনশন মঞ্চের দূরে দেখি
সূর্য রোজ দেখে যায় আমাদের
ফেলছে আলো
ওই শিমূল গাছে মেলছে লাল পাপড়ি।