অবতক খবর,৯ সেপ্টেম্বর: মঙ্গলবার রাত থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সেক সাহাদাত আলির বছর ৩২ এর ছেলে নিখোঁজ।

আর যার কারণে এলাকায় রীতিমতো সন্দেহের দানা বেঁধেছে পরিবারে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ সাহাদাত বাবুর ছোট ছেলে সেক হামিদুল আলি তাঁর কফলা গ্রাম থেকে কোলাঘাটের উদ্দেশ্যে বাবার বাইক নিয়ে বেরিয়ে আসে।এরপর তার পরিবারের সাথে শেষ ভিডিও কল হামিদুলের স্ত্রীর সাথে হয় রাত ১০ টা নাগাদ।তারপর থেকে খোঁজ নেই হামিদুলের।মোবাইলের সুইচ স্টপ।এরপর রাত বাড়তে পরিবারের লোকজন খোঁজ শুরু করেন।সাহাদাত বাবু এও বলেন,কোলাঘাটে খোঁজ চলাকালীন কোলকাতা থেকে ২ মহিলা ও ১ জন যুবক আসেন।

তারা জানান,রাতে হামিদুল ভিডিও কল করেন,সেখানে ব্যবসায়িক বিষয় নিয়ে কোন কথাবার্তা হয়,এবং সে কোলাঘাটে বাসব্রীজ থেকে রূপনারায়ন নদে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে বলেছিলো।তাঁকে নানাভাবে ভিডিও কলে বারন ও বোঝানোর চেষ্টা করে কোলকাতার ঐ সহকর্মী (বান্ধবী) এবং এদিন ভিডিওর ছবিও পরিবারকে দেখান।তবে সেই ভিডিওতে কোন সাউন্ড নেই। বুধবার রাতে কোলাঘাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন বাবা সেক সাহাদাত আলি।
এও জানা যায়,সেক হামিদুল আলি কোলকাতায় ইন্টিটিওর ডেকরেশনের কাজ করতো।কোলকাতার বেশ কয়েকজন বন্ধু বান্ধবী মিলে কয়েক লক্ষ টাকার কাজ পেয়েছিলো।মঙ্গলবার রাতে সেই বন্ধু বান্ধবীরাই রাতে কোলাঘাটে আসেন।তবে কোলাঘাট থানার পুলিশ ৩ বন্ধু বান্ধবীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।২ দিন কেটে গেলেও কোন খোঁজ নেই তৃনমূল নেতার ছেলের।বিষয়টি ব্যবসায়িক কোন কারনে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো হামিদুল না সহকর্মী বন্ধুদের দ্বারা কোনভাবে নিখোঁজ হলো সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে কোলাঘাট থানার পুলিশ।এই ঘটনায় রীতিমতো রহস্যের দানা বেঁধেছে।