অপূর্ব মন্ডল :: অবতক খবর :: দক্ষিণ দিনাজপুর :: ৩০ মে :: কোয়ান্টারাইন সেন্টার করতে বাধা দিল গ্রাম বাসী। বালুরঘাট ব্লকে ৫ নং ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের চকরাম গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ান্টারাইন সেন্টার করার প্রতিবাদে গ্রামের পুরুষ এবং মহিলারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করল শনিবার দুপুরে চকরাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে।
শনিবার দুপুরে প্রায় দুই শতাধিক গ্রামবাসী বিদ্যালয়ের সামনে কোয়ান্টারাইন সেন্টার যাতে না হয় তার জন্য বিদ্যালয়ের গেটে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল। তাদের দাবি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত। পাশে একটি ফুটবল মাঠে আছে। আবার বিদ্যালয়ের পাশেই সবজি, মুদি, মুরগি, মাংস, মাছ, মোবাইলের ক্যাশ কার্ড সহ ছোট্ট বাজার বসে সকাল বিকালে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের চারদিক দিয়ে বাড়িঘর রয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বলাই প্রামাণিক বলেন পঞ্চায়েত অফিস থেকে তাকে ফোন করা হয়েছিল স্কুলের ফাঁকা ঘর গুলি খুলে দেওয়ার জন্য। সেখানে নাকি পরিযায়ী শ্রমিকরা এসে থাকবে। এছাড়াও এই গ্রামেরই পঞ্চায়েতের নির্বাচিত মেম্বারও আমাকে ফোন করে বিদ্যালয়ের চাবি দেওয়ার কথা বলে। এরপর আমি বিদ্যালয়ে আসি। দেখি, বিদ্যালয়ের গেটের সামনে ওই গ্রামের বেশ কিছু মহিলা ও পুরুষ এসে দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমাকে বিদ্যালয় খুলতে না করেন এবং এখানে পরিযায়ীদের কোন্টারাইন সেন্টার হবে না বলে জানিয়ে দেন। আমি সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি এবং পঞ্চায়েত অফিস ও গ্রামের মেম্বারকে ফোনে এই ঘটনা জানিয়ে দিই । এরপর আমাদের বালুরঘাট সদর সার্কেলের স্কুল ইন্সপেক্টর বুলবুলি টুডুকেও ঘটনাটা জানাই।
গ্রামের বাসিন্দা নয়ন বর্মণ বলেন শিশুদের বিদ্যালয়ে কখনোই কোন্টারাইন সেন্টার করা যাবেনা। কারণ শিশুরা বিদ্যালয় খুললেই আবার পড়াশোনা করতে আসবে । আমরা এই ব্যাপারে কোন আপোষ কোরবোনা। এছাড়াও বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে গ্রামের ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করে আবার বিদ্যালয়ের পাশেই দোকান বাজার বসে এখানে গ্রামের লোকেরা কেনাকাটা করে। তাই আমরা চাই আমাদের গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিকরা অবশ্যই ঘরে ফিরে আসুক। তবে তাদের জন্য গ্রামে বহু ফাঁকা জায়গা আছে সেখানে সরকারিভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হোক । এতে গ্রামও সুরক্ষিত থাকবে ও পরিযায়ী শ্রমিকরাও ভালো থাকবে। এব্যাপারে পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করলে তারা কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি।