অবতক খবর :: উত্তর দিনাজপুর ::   সরকারিভাবে যাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে তাদের দুই বেলা আহারের বন্দোবস্ত করার পাশাপাশি সমস্ত খরচের দায়িত্ব নিজের মাথায় নিয়ে নিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা সমাজ কর্মী মহম্মদ রাহী। দীর্ঘ তিন মাস ধরে নিজের বাড়িতেই রান্না করে সেই খাবার পাঠাচ্ছেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে।

গোয়ালপোখর এক ব্লকের পান্জিপারা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এর আগেও বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কাজে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন। প্রশাসনের অনুরোধে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন নিষ্ঠা সহকারে। এমনই উদাহরণ দেখা গেল পান্জিপারা এলাহী বক্স হাই স্কুলে। সেখানে চল্লিশোর্ধ মানুষের জন্য তার প্রতিদিনের ব্যবস্থার কোনো ত্রুটি নেই। এমনই জানালেন ওই এলাকার অপর সমাজকর্মী মহম্মদ মাসুম। পাশাপাশি চারদিন আগে মহারাষ্ট্র থেকে এসেছেন প্রবীর বিশ্বাস সহ আরো অনেকেই । তারা সেখানে শ্রমিকের কাজ করতেন ।বাড়ি পান্জিপারা সংলগ্ন শান্তিনগরে। গ্রামের লোক তাদেরকে ঢুকতে দেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। তবে তারা সেখানে ভালোই আছেন। এমনই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বৃহস্পতিবার তারা।

তারা বলেছেন খাওয়া-দাওয়া এবং থাকাসহ কোন অসুবিধা নেই। রয়েছে ফ্যান ও লাইট। এমনকি নেই শৌচাগারের সমস্যাও। ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ইনচার্জ মহম্মদ মূর্তজা আলম বলেন, মহম্মদ রাহী উপপ্রধান হলেও তিনি একজন ওই এলাকার প্রকৃত সমাজকর্মী। তারই প্রতিফলন ঘটছে এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। বর্তমানে সতেরো জন থাকলেও কয়েকদিন আগে ছিল চুয়াল্লিশ জন। যারা স্ক্রিনিংয়ের জন্য অন্যত্র চলে গেছে। কিন্তু যে কজনই থাকুক না কেন দুবেলা তাদের কখনো ডিম ভাত কখনো মাছ-ভাত কখনো খিচুড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে অন্যান্য ব্যবস্থা এবং তিনি নিয়মিত সেখানে খোঁজখবর নিচ্ছেন কোথাও কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না ।উপ প্রধানের এহেন সমাজসেবার জেরে তার নাম অনেকেরই মুখে মুখে ফিরছে এখন।