ক্ষমা প্রার্থনা
তমাল সাহা

আমি এক অদ্ভুত আশ্চর্য লোক,
এখনো মানুষ হইনি।
কত কী দেখি আমি, এখনো কিছুই বুঝিনি!

মণিপুরের নারী লাঞ্ছনা দেখে
কত প্রতিবাদী কবিতা কত সোচ্চার আবৃত্তি
ক্রোধে রাগে অনুরাগে!

কত ঘটনা ঘটে গেছে নারী নিগ্রহ নির্যাতনের
টুকরো টুকরো মণিপুর হয়ে গিয়েছে
গাঙ্গেয় প্রদেশে অনেক আগে।

কিম্ভুতকিমাকার আমি
এ নিয়ে কোনো বিক্ষোভ দেখাইনি
এতো হৈচৈ কিছুই ছিল না , কিছুই পড়েনি
বাংলার বায়ু বাংলার জল বাংলার মাটির ভাগে।

চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে
সেখানে ডুবেছে মানুষ উত্তাল বন্যা।
এখানে ছাতা ধরেছি মাথায়
তার নিচে দাঁড়িয়ে আমাদের অঝোরে কী কান্না!

এক কবি বলে,
মালদহ দিয়ে ঢাকা যাবে না মণিপুরের ঘটনা
আমি বলি,
এতে থামানো যাবে কি কামদুনি মধ্যমগ্রাম হাঁসখালির মায়ের বেদনা?

মনিপুরের মায়েরাই নারী বুঝি
বাংলার নারীরা তবে কি সতীন?
এত ঘৃণার প্রকাশ বঙ্গভূমে দেখিনি তো কোনোদিন!
শব্দজীবী আমি, হতে পারি কি সংকীর্ণ
সব ধর্ষিতার জন্যই তো আমার হৃদয় হবে বিদীর্ণ
নাকি হবো শাসকের এক বিশাল দালাল?

আমার সম্বল শুধু খুদে এক কবি
তার কাছে পড়ে থাকি নত হয়ে।
তাকে বলি,
এই দেশে এখন মহা দুঃসময়ের কাল
তোমার পায়ে পড়ি, আমি অক্ষম কোনদিনও পারবো না
রাত্রির গভীর বৃন্ত থেকে ছিঁড়ে আনতে ফুটন্ত সকাল!