অবতক খবর,১ মার্চ,বাঁকুড়া :- ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হতেই অন্যান্য পড়ুয়াদের পাশাপাশি খারকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসমেন্টে থাকা বম্ব সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছিল বাঁকুড়ার বাসিন্দা সৌমাল্য মুখার্জী। টানা ৬ দিন সেখানেই কেটেছে। আজ সকালে ভারতীয় দূতাবাসের নির্দেশে অন্যান্য ভারতীয় পড়ুয়াদের পাশাপাশি হাঙ্গেরী সীমানায় যাওয়ার ট্রেন ধরেছে সৌমাল্য। ছেলে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত খারকিব ছাড়ায় আপাতত স্বস্তিতে সৌমাল্যর পরিবার।

বছর দুয়েক আগে ইউক্রেনের খারকিব শহরে থাকা ভিয়েন খারাজিন খারকিভ ন্যাশানাল ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পায় বাঁকুড়ার প্রনবানন্দ পল্লীর সৌমাল্য মুখার্জী। সেখানে থেকেই চলছিল পড়াশোনা। দিন ছয়েক আগে আচমকাই রুশ সেনা ইউক্রেনে হামলা চালাতে শুরু করলে সৌমাল্য সহ ওই কলেজের ভারতীয় হোস্টেলের সমস্ত পড়ুয়াকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসমেন্টে থাকা বম্ব সেন্টারে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকে শুধুই উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় কেটেছে সৌমাল্যর বাঁকুড়ার বাড়িতে।

ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকায় সৌমাল্যর শিক্ষক বাবা ও গৃহবধু মার গত ৬ দিন কেটেছে শুধুই চোখের জল আর একরাশ দুশ্চিন্তায়। আজ সকালে ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় দূতাবাস সৌমাল্য সহ অন্যান্য পড়ুয়াদের দ্রুত খারকিভ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। জানা গেছে প্রাথমিক ভাবে ট্রেনে খারকিভ থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরবর্তী হাঙ্গেরী সীমানায় থাকা ইউক্রেনের লাবিব শহরে। সেখান থেকে সীমানা অতিক্রম করে বাসে করে হাঙ্গেরীতে যাওয়ার কথা সৌমাল্য সহ অন্যান্য ভারতীয় পড়ুয়াদের।

সেখান থেকে ভারতীয় বিমানে পড়ুয়াদের দেশে ফেরানো হবে। দূতাবাসের নির্দেশ পেতেই খারকিভের বম্ব সেন্টার ছেড়ে আজ সকালে স্টেশনে পৌঁছায় ভারতীয় পড়ুয়ারা। ট্রেনে চেপে রওনা দিয়েছে লাবিবের উদ্যেশ্যে। আপাতত যুদ্ধ বিদ্ধস্ত খারকিভ শহর ছাড়ার ব্যবস্থা হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সৌমাল্যর পরিবারে। সব ঠিকঠাক চললে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে বাঁকুড়ার বাড়িতে ফিরতে পারবে সৌমাল্য। আপাতত তারই প্রতিক্ষায় পথ চেয়ে সৌমাল্যর পরিবার।