অবতক খবর সংবাদদাতা :: একদিকে করোনা সংক্রমণ লকডাউন ও অন্যদিকে বাজারে হু-হু করে বাড়ছে আলুর দাম। এমন অবস্থায় খুচরো বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নবান্নে একটি বৈঠকের পর পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন বাজারে 25 টাকার বেশি দরে আর আলু বিক্রি করা যাবে না।
কোভিড সংক্রমণে কাঁপছে সারাদেশ । রাজ্যে গোষ্ঠীর সংক্রমণ এর চেন ভাঙতে আলাদা আলাদাভাবে কনটেইনমেন্ট জোনে কোথাও সম্পূর্ণ বা কোথাও আংশিক লকডাউন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে প্রশাসন। এছাড়াও রাজ্যজুড়ে আগস্ট মাসে 2,8, 20, 21, 27, 28 ও 31 তারিখ সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য প্রশাসন। এমন অবস্থায় আলুর দাম নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়ে গেছে বাজার জুড়ে। আলুর এই কালোবাজারির রুখতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক বৈঠকের পর নবান্নে জানান যে রাজ্যের খুচরো বাজারে আলুর দাম 25 টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। তিনি পরিষ্কার জানান যে এই পদক্ষেপ দ্রুত করে আগামী 15 আগস্ট থেকে বাজারে 25 টাকা করে আলু বিক্রি সুনিশ্চিত করতে হবে সরকারি আধিকারিকদের ও ব্যবসায়ীদের।
তিনি আরো জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের থেকে সরাসরি 22 টাকা করে আলু কিনে পরিবহন হিসেবে এক টাকা ও তাদের লাভ রেখে খুচরো বাজারে পৌঁছে দেবেন। খুচরো বাজারে আলু 25 টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি করতে হবে।
উল্লেখ্য বাজারে বর্তমানে আলুর দাম কোথাও 30 35 ও কোথাও কোথাও 40 টাকা হয়ে গেছে। আলুর বিক্রেতাদের দাবি পরিবহনব্যবস্থা ঠিকঠাক না থাকার কারণে এই করণা সংক্রমনের ফলে বাড়ছে দাম। আলু বাজারে পর্যাপ্ত আসছে না তাই চড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাছাড়া কিছু আড়তদার পাইকারবা ,আলুর কালোবাজারিরা আলু আটকে রেখে কৃত্রিম ভাবেই বাজারের আলুর ক্রাইসিস সৃষ্টি করছেন। ফলে আলুর দাম বাড়ছে। এছাড়াও বাংলা থেকে আলু ঝাড়খন্ড ইউপি বিহার উড়িষ্যা ছত্রিশগড় রপ্তানি করা হচ্ছে।
তবে এইসব কথা জেনে শুনে বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক সরকারি নির্দেশে গত 24 জুলাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে কোনোভাবে কোল্ডস্টোরেজে 40 বস্তার বেশি আলু ব্যবসায়ীরা মজুদ রাখতে পারবেন না কিন্তু তাতেও আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। তাই অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী আলুর দাম খুচরা বাজারে 25 টাকা সুনিশ্চিত করতে নিয়ম করে দেন ও তার জন্য একটি টাস্কফোর্স তৈরি করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পদক্ষেপে খুশি গৃহিণীরা ও সাধারণ আমজনতা সকলে।তবে মানুষের প্রশ্ন শুধুই কোলকাতা তে যেন এই নিৰ্দেশ আর গন্ডি না থেকে যায়। জেলায় জেলায় সকলে যেন মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের লাভ যেন পান এই দিকেও সরকার কে নজর দিতে হবে।