অবতক খবর :: ইসলামপুর :: গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটলো একটি টি এস্টেটে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মঙ্গলবার ভোররাতে ইসলামপুর থানার মাটিকুন্ডা দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বীজ বাড়ি এলাকার ঘটনা।
টি এন চৌধুরী টি ফ্যাক্টরিতে এই ঘটনায় ডাকাত দলের ছোড়া দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হলো ম্যানেজারের ছেলে স্কুল পড়ুয়া অঙ্কিত খাকি। বয়স পনেরো বছর। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে সে। বাবার কাছে এসেছিল লকডাউন এর ছুটিতে। আচমকা ডাকাতদলের দুষ্কৃতীরা বাবাকে হেনস্থা করছে দেখে সে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করে। আর ঠিক তখনই ডাকাতদলের ছোড়া গুলিতে সে জখম হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর ওই পড়ুয়াকে নিয়ে আসা হয় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে পাঠানো হয় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। ঘটনার পর সেখানে পুলিশ পৌঁছে তদন্তে নামে।
ওই চা ফ্যাক্টরির বোর্ড অফ ডিরেক্টর শুভঙ্কর চৌধুরী জানান, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এসে ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। তারা এসে নিরাপত্তা রক্ষীকে হাত-পা বেঁধে রেখে অফিসের আলমারি ভেঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে যায় এবং সেখানেই ম্যানেজারের ঘরে ঢুকে গয়না, মোবাইল, এটিএম কার্ড সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায় তারা। তার ছেলে উঠে বাধা দিতে গেলে তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায়। এটি সম্ভবত পূর্বপরিকল্পনা হতে পারে। কারণ তিরিশ বছরের বাগানে তাদের কখনো চুরির ঘটনাও ঘটেনি। তবে যেভাবে নিপুন হাতে প্রতিটি ক্লিপ খুলে কোথাও না ভেঙে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে গেছে তাতে মনে করা হচ্ছে এখানে কেউ ওই বিষয়ে দক্ষ ছিলেন। না হলে এটা সম্ভব নয়। সামগ্রিক বিষয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরাপত্তা রক্ষী বিপ্লব ঘোষ জানান,মোট চারজন এসেছিল ভেতরে। দুষ্কৃতীরা ভেতরে ঢুকে তার হাত-পা বেঁধে দেয় এবং ভয় দেখিয়ে বলে কোন আওয়াজ করবেন না। তার কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে বাঁচার জন্য বলে যে তিনি নতুন কাজে যোগ দিয়েছেন। তাই কোন বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। এরপর ডাকাত দল অফিস বিল্ডিং এর সমস্ত কিছু তছনছ করে এবং ম্যানেজারের কাছে যায়। পরপর দুটো গুলি চালায় তারা। সেখান থেকে চাবি নিয়ে গেট খুলে তারপর তারা বেরিয়ে যায়।
অপর প্রত্যক্ষদর্শী অমৃত খাকির ঠাকুরমা মধুময় খাকি জানান, আচমকা ভেতরে ঢোকেদুষ্কৃতীরা। তার গলার সোনার হার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার নাতিকে দেখতে পান। রক্তে ভেসে যায় জায়গা। বলতে বলতে কেঁদেই ফেললেন তিনি। তারা হিন্দি ভাষায় কথা বলছিলো এবং সকলের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। ম্যানেজার অমৃত খাকি জানান, দুষ্কৃতীরা একটি মই লাগিয়ে ভেতরে ঢুকে এই ঘটনা ঘটায়।