অবতক খবর,১৮ এপ্রিল:সুমিত,কলকাতা: গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র। আসানসোল সিবিআই আদালতে আনা হল বিকাশ মিশ্রকে। সিবিআই-এর তিনজন আধিকারিকের সঙ্গে আসানসোলে নিয়ে আসা হল তাঁকে। গত ৮ এপ্রিল সিবিআই কোর্ট ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হল আজ।

প্রসঙ্গত, পাচারকাণ্ডে শুধু দেশেই নয়, দেশের সীমা ছাড়িয়ে তাঁর হাত পৌঁছেছিল বিদেশেও। সূত্রের খবর, গত ২৯ মার্চই হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনিও দ্বারস্থ হয়েছিলেন এসএসকেএম-এর। ১৮ মার্চ অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। সেই আবেদন খারিজ হয়।
এরপরই কয়লাপাচার কাণ্ডে তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত ও গরুপাচার কাণ্ডে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, কয়লাপাচার কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি ২২ এপ্রিল ও গরুপাচার কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি ১৮ এপ্রিল অর্থাত আজ।

প্রশ্ন ওঠে, কে এই বিকাশ মিশ্র? কীভাবে তাঁর উত্থান? জানা গেছে, তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র। পাচারকাণ্ডে সিবিআই-এর হাত থেকে পালাতে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে একটি দ্বীপরাষ্ট্রে আত্মগোপন করেছেন বিনয়। কিন্তু সিবিআই-এর হাত থেকে পালাতে পারেননি বিকাশ।

পাচারকাণ্ডে তদন্তে নামে সিবিআই। অনুপ মাজি ওরফে লালা, বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার মধ্যে রয়েছে বাড়ি, গাড়ি ও জমিও। উঠে আসে একের পর এক প্রভাবশালী যোগ। উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ এবং তারপর ১৪ মার্চ। দুটি তারিখে আসানসোল সিবিআই আদালতে বিকাশ মিশ্রের মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু দুটি তারিখেই তাঁকে হাজির করানো হয়নি। আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগার থেকে আদালতে বলা হয়, বিকাশ মিশ্র কলকাতায় এসএসকেএমে ভর্তি রয়েছেন। তাই তাঁকে হাজির করানো যায়নি।

কিন্তু সিবিআই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বিকাশের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ফলে কয়লার পর এবার গরুপাচার কাণ্ডেও সিবিআইয়ের নজরে বিকাশ মিশ্র।