গান স্যালুটও বুঝে গেছে তার মর্যাদার দিন ফুরিয়েছে। তার আর কোনো জাত নেই। বজ্জাত মরলেও তাকে তোপধ্বনি করে স্যালুট দিতে হবে! এটা নাকি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা? মারতেও বন্দুক, মরলেও বন্দুক!
গান স্যালুটের দুঃখ
তমাল সাহা
যখন সে ফিরে এলো ঘরে
তখন সব বারুদ নিঃশেষ।
চুপচাপ শুয়ে রইল হতাশ
ক্লান্ত দেহাবশেষ।
সে কী তার অবিশ্রান্ত কান্না!
বলে না! না! আমি আর না।
কেন কি হয়েছে তোর?
কে কখন মরবে হও রেডি
সেই থেকে তোড়জোড়।
গান বলে,
আমাদের তো আছে
একটা মর্যাদা, মান সম্মান।
যখন তখন বাঁধো দল
হও ফিটফাট, চলো শ্মশান
কেওড়াতলা, নিমতলা।
প্রয়াণ? না পটল তোলা?
ফিরে আসি ঘরে, পরিবার বলে–
অশৌচ টশৌচ সব বালাই গিয়েছে
করে এসেছো গাঙ্গেয় শুচিস্নান?
এও এক ঘরোয়া অপমান।
আমাদের ওপরও চলে রাষ্ট্রীয় শোষণ।
ছত্রিশ বার তোপধ্বনি করো
এটা নয় কি শব্দ দূষণ?
পরিবার বলে, এবার কাকে দিলে স্যালুট?
রবীন্দ্রনাথ?নজরুল? ক্ষুদিরাম?
নাকি কোনো রাষ্ট্রীয় দালাল পেত্নী-ভূত!
বলো তো!
যাকে তাকে দেওয়া যায় গান স্যালুট!
একি বাতাসা নাকি?
জমেছে কীর্তন
ইচ্ছে মতো দাও হরিলুট!