অবতক খবর, হক জাফর ইমাম, মালদা :: গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে মারার অভিযোগ উঠলো গুণধর স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামীর একটি পরিবার থাকা সত্ত্বেও সে কথা লুকিয়ে মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বধূর দেহ মালদা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী।
সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতার নাম সালিনা খাতুন(৩১) মালদা কালিয়াচক থানার বিষটোলায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। যদিও বিয়ের পর থেকে সালিনা বাপের বাড়িতেই থাকতেন। কারণ, বিষটোলায় অভিযুক্ত স্বামী পিন্টু শেখের আরেক পরিবার আগে থেকেই রয়েছে। আগের স্ত্রী, ৩ ছেলে-মেয়ে থাকার পরেও সে সালিনাকে ভুল বুঝিয়ে বিয়ে করে। পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার দুপুরের দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ঘরের মধ্যে পাওয়া যায়। গলায় দড়ি জড়ানো ছিল।
ঘটনার সময় শ্বশুর বাড়িতেই ছিল অভিযুক্ত। মৃতার কাকা মর্তুজ শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘জামাই নিজের বিয়ের কথা লুকিয়ে আমার মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে সামাজিক মতে বিয়ে করে অন্যত্র। তার কাগজপত্র রয়েছে। কিন্তু সেই প্রমাণ লোপাটের জন্য বিয়ের কাগজপত্র পুড়িয়ে দেয় জামাই। এই নিয়ে আমাদের মেয়ে প্রতিবাদ করে। দু দিন ধরে ওদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। আমরা নিশ্চিত মেয়েকে জামাই মেরে ফেলেছে। শ্বাসরোধ করে মারার পর দেওয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জামাইয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।