গো-ডক্টরেট
তমাল সাহা

গো উপাখ্যান লিখতে লিখতে গো গবেষণায় আমি মগ্ন হয়ে পড়ি। একটি থিসিসে গো সম্পর্কিত কিছু নতুন তথ্য সংযোজন করি এবং হরিণঘাটা পশুপালন গবেষণা কেন্দ্রে জমা দিই।

আমি দেখাই যে গোচারক মানে রাখাল হবার চেয়ে গরু পাচারকারী হওয়া অধিকতর অর্থকরী। আমার যুক্তির পক্ষে সিবিআই এবং ইডির এভিডেন্স দাখিল করি।

গো-পাচারকারী হিসেবে অভিযুক্ত হলে জেল হাজতবাসের অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। বাঘ বাহাদুর ও রাজ্যবীর শিরোপায় ভূষিত হওয়া যায়। দিল্লিতে যেতে উড়ানের সুবিধা মেলে।
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তিহার জেলে বন্দী থাকার সুযোগ মেলে, জেলের কাজকর্ম প্রত্যক্ষ করা যায় এবং বিভিন্ন প্রকার তস্করের সান্নিধ্য পাওয়া যায়।

আমি আরো দেখাই যে এই সমস্ত ঘটনার জন্য গরুই দায়ী।। কারণ গরু না থাকলে গোপাচারের ঘটনাই ঘটতো না। এবং ক্রমান্বয়ে এসব ঘটনাবলী লোকসাধারণের অজ্ঞাত থেকে যেত। এই কারণেই দুনিয়ার সমস্ত গরুকেই জেলবন্দি করা উচিত এবং আরো সংশোধনাগার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গড়ে তোলা রাষ্ট্রের আবশ্যিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।

তবে গোপাচারের কারণে ব্যক্তিগত লাভ মানে আমার সম্মান বেড়েছে। এই গবেষণার ফলে আমি গো-ডক্টরেটের মর্যাদা পেয়েছি। আমি আরো গর্বিত যে আমার এই গবেষণা বিশ্বে বেনজির দুর্লভ এবং ঐতিহাসিক বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।

গরু নামক নিরীহ জীবটি যে এইভাবে মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধির সহায়ক ও উপযোগী হতে পারে তা মানুষ ভাবতেই পারেনি।