অবতক খবর,২১ আগস্টঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর হওয়া জনস্বার্থ মামলা ঘটনার প্রেক্ষিতে স্টুডেন্ট ইউনিয়নের বক্তব্য জানতে চায় আদালত । ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো পুলিশ ঢুকতে পারেনি প্রশ্ন আদালতের।উত্তর দেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ।দুই সপ্তাহ পর শুনানি ।সেই দিন ই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে উত্তর ।স্টুডেন্ট ইউনিয়নকে মামলার পার্টি করার নির্দেশ প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ এর।
আবেদনকারী(তৃণমূল সুদীপ রাহা) আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপধ্যায়:যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বিশ্বব্যাপী ।ফলত অনেক স্বপ্ন নিয়ে গ্রাম গঞ্জ থেকে অনেক মেধাবী ছাত্র ছাত্রী রা আসে।কিন্তু এখানে এসে রাগিং এর স্বীকার হচ্ছে । সৌভাতৃত দেখানোর জায়গায় যাদবপুর এর সিনিয়র র ভয় দেখায় ।ভয় থেকে জিততে পারলে পড়াশোনার সুযোগ আছে ।
৬৮ বছরের প্রতিষ্ঠান ,এই প্রতিষ্ঠানে সবরকম উচ্চ মানের শিক্ষার ব্যাবস্থা আছে ।নদীয়ার ছাত্র বাংলা বিভাগের ভর্তি হয় ।গত ১০ আগস্ট ঘটনা ঘটার পর ও বিশ্ববিদ্যালয় কোনো অভিযোগ করে নি ।সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসতেই নড়ে চড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তপক্ষ।পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।রাতে ওই ছাত্র কে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছয় ।তখন পুলিশ কে ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হয় । রগিং এর অভিযোগ উঠছে অথচ অন্টিরাগিং টীম বর্তমান যাদবপুরে ।চূড়ান্ত বেনিয়ম ।সিসিটিভি ক্যামেরা না লাগানোর দাবি তে ভিসি ঘেরাও চলেছে ।একজন ভিসি পদত্যাগ করেন।
প্রধান বিচরপতি: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অডিনেন্স আনা হয়েছে কি না জানা হবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের কি কি নিয়ম ফলো করে ।তাদের হোস্টেলের ব্যাপারে কি নোটিস দেয়া হয়েছে ।সব দেখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য শুনতে হবে ।
এজি (সরকারি আইনজীবী) রেগিং ইঞ্জিনিয়ার পড়াশোনার ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় এখন সেটা সব ধরনের পড়াশোনা তে দেখা যাচ্ছে ।আর্ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের raging অভিযোগ উঠলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা গ্রহণযোগ্য নয় ।হাইকোর্টের আগেই raging নিয়ে গাইডলাইন আছে ।সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন আছে ।
সৌম্য মজুমদার বিশ্ববিদ্যালয়ের: রিপোর্ট করা হয়ছে ।একটা ট্রমা কাজ করছে ছাত্র দের মধ্যে ।ওই ব্লকের ছাত্র দের সাময়িক ভাবে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়ছে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে ।রাজনৈতিক দলের নেতা র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করছে ।সিসিটিভি বসতে গেলে হাঙ্গার স্ট্রাইক করছে স্টুডেন্ট র ।বেশিরভাগ বহিরাগত ।জুনিয়র স্টুডেন্ট দের আমরা অন্যত্র ট্রান্সফার করেছি ।
প্রধান বিচারপতি: এটা ছাত্র দের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে ।বুঝিয়ে কি এই অবস্থা থেকে বেরোনো সম্ভব নয় ?? ওরা কেউ ক্রিমিনাল নয় ।আপনারা শিক্ষক ।লোকাল অভিভাবক ও । সারা পৃথিবীতে যাদবপুরে প্রক্তনিরা ছড়িয়ে আছে ।হোটেল এর ব্যাপার টা হোস্টেল সুপার চাইলে সামলাতেই পারতেন ।
স্টুডেন্ট ইউনিয়নের বক্তব্য জানতে চায় আদালত ।বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো পুলিশ ঢুকতে পারেনি প্রশ্ন আদালতের।উত্তর দেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম আবেদনকারী আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জি: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা ।
প্রধান বিচারপতি: মামলার কাগজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তপক্ষ কে দেয়া হয়নি ।প্রত্যেককে কপি দিয়ে ২৮ আগস্টেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।