অবতক খবর,১৩ সেপ্টেম্বর: কাঁচরাপাড়ার একটি স্বনামধন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার অক্টেভ(OCTAVE)। যেটি কাঁচরাপাড়া বাগমোড় সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থিত। এই অঞ্চলে বসবাসকারী সকলেই জানেন এই অক্টেভ ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়কের এবং তাঁর স্ত্রী সেটি দেখাশোনা করেন।

এই অক্টেভ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন বীজপুরবাসী। যেমন-সেখানকার কর্মচারীদের খারাপ ব্যবহার, ভুল রিপোর্ট, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই কাজ করেন সেখানকার মেডিকেল স্টাফরা ইত্যাদি।
তবে নিজেদের সুবিধার্থে বীজপুরবাসী এই সমস্ত অভিযোগে আমল দেননি কখনোই।
এই অক্টেভে স্বনামধন্য চিকিৎসকরা রোগী দেখেন।
এক ছাদের তলায় যেহেতু বড় বড় ডাক্তারদের পেয়ে যান তাই অভিযোগ সত্ত্বেও মানুষ সেখানেই যান।

কিন্তু এবারে অক্টেভের বিরুদ্ধে উঠে এলো গুরুতর অভিযোগ।

গত ২৮শে আগস্ট চাকদহ,নদীয়ার বাসিন্দা ৫৬ বছর বয়সী মায়ারানি হালদার অক্টেভে আসেন ডাক্তার স্বস্তিক পুরকাইতকে দেখাতে। তিনি মায়ারানিকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা লিখে দেন।
যেহেতু চাকদহ থেকে কাঁচরাপাড়ার দূরত্ব অনেকটাই, তাই মায়ারানির পরিবার চাকদহ থেকেই সেই সমস্ত পরীক্ষাগুলি করিয়ে নেন।
অবশেষে তারা ফের চলতি মাসের ৫ তারিখে রিপোর্টসহ ওই ডাক্তার বাবুকে দেখাতে আসে।

কিন্তু রিপোর্টগুলি রিসেপশনে দেখাতেই অক্টেভের কর্মীরা তেঁতে ওঠে। তারা রোগীর পরিবারকে জানিয়ে দেন যে, যেহেতু এখান থেকে(অক্টেভ) রিপোর্ট করা হয়নি তাই এখানে আর ডাক্তার দেখানো যাবে না।

এরপরই রোগীর পরিবার এবং অক্টেভের কর্মীদের সঙ্গে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা।

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, অক্টেভের স্টাফরা তাদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেন। সাথে রোগী থাকা সত্ত্বেও তারা ডাক্তার দেখাতে দেননি।

অন্যদিকে সেখানে উপস্থিত অন্যান্য রোগীর পরিবারেরা অভিযোগ করে বলেন,অক্টেভে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। ডাক্তার দেখানোর জন্য ১০০ টাকা দিয়ে একটি কুপন কাটতে হবে। ডাক্তার দেখিয়ে তাদের ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে ফের সেই কুপনটি দেখালে তারা ১০০ টাকা ফেরত পাবেন।

রোগীর পরিবার এই সমস্ত অভিযোগের কথা বললে তাদের সেখান থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।

এই হচ্ছে বর্তমানে কাঁচরাপাড়ার স্বনামধন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অবস্থা।
শুধু এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার নয়, খোঁজ নিলে দেখা যাবে বীজপুরের বহু নামিদামি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই জাতীয় অভিযোগ রয়েছে রোগীর পরিবারের।
এমতাবস্থায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা গরীব রোগীর পরিবাররা কোথায় যাবেন? এই নিয়ে কার কাছে অভিযোগ জানাবেন? তারা অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছেন।