অবতক খবর,১৫ সেপ্টেম্বর: একের পর এক দুঃসাহসিক চুরি বীজপুরে। বিগত চারদিনে মোট চারটি বড় বড় চুরির ঘটনা ঘটেছে হালিশহর ও কাঁচরাপাড়ায়।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে ১২ই সেপ্টেম্বর ভর সন্ধ্যায় কাঁচরাপাড়া রজনীবাবু রোডে। ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ময়নাদেবী বসবাস করেন ওই বাড়িতে। নিচে থাকেন ভাড়াটিয়া। কিন্তু সন্ধ্যায় মেয়েকে নিয়ে শপিং করতে বের হলে বাড়ি ফিরে এসে দেখেন তাঁর এবং তাঁর ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে খোয়া গেছে সর্বস্ব।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে, হালিশহর ৬ নম্বর ওয়ার্ড দোলতলা চৌধুরী পাড়ায় ১৪ই সেপ্টেম্বর রাতে। মুষলধারে বৃষ্টি এবং বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে প্রায় ৭০ গ্ৰাম সোনা(যার বাজারমূল্য মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা) এবং বাড়ির টাকা পয়সা, দামি দামি জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরেরা।
তৃতীয় ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ই সেপ্টেম্বর রাতে। কাঁচরাপাড়া চারাপোল বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থিত স্বর্ণ মহল নামে একটি সোনার দোকানে। দোকানের ২৫টি তালা কেটে সেখান থেকে প্রায় ১৫ লক্ষেরও বেশি টাকার সোনা এবং টাকাপয়সা নিয়ে গেছে চোর।
চতুর্থ চুরির ঘটনাটিও ঘটে ১৪ই সেপ্টেম্বর কাঁচরাপাড়া ছোট জোনপুরের অন্বেষা জুয়েলার্সে। দোকানের পেছনের জানালা ভেঙে দোকানের সোনারূপো মূল্যবান রত্ন,টাকা পয়সা সবকিছু নিয়ে যায় চোর।
এখন প্রশ্ন,কি করছে বীজপুর পুলিশ প্রশাসন? বীজপুরবাসীর নিরাপত্তা কোথায়? তবে কি বীজপুরের মানুষ রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতেও পারবে না?
এই সমস্ত চোর, দুর্বৃত্তদের কি এখন আর পুলিশের ভয়,শাস্তির ভয় নেই?
এইরকম চলতে থাকলে তো আইন ব্যবস্থার উপর ভরসা উঠে যাবে সাধারণ মানুষের।
এই যে চুরির ঘটনাগুলো ঘটেছে,তাতে বীজপুরবাসী বলছেন,আদেও কি পুলিশ এই চোরেদের ধরতে পারবে? উদ্ধার করতে পারবে চুরি যাওয়া সোনা,টাকা?
নাকি এইরকমভাবেই চোরেদের সাহস দিন কে দিন বৃদ্ধি পাবে?
সাধারণ মানুষের এই সকল প্রশ্নের উত্তর দেবে কে?
কে দেবে নিরাপত্তা,যাতে মানুষ একটু নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবে রাতে??