অবতক খবর,৪ অক্টোবর: চোপড়া ব্লকের জমিদার আমলের পুজোর জোর প্রস্তুতি চলছে । মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্যতম প্রাচীন পুজো চুয়াগাড়ি দক্ষিণপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো । ষষ্ঠীতে এখানকার স্থায়ী মন্দিরে পুজো শুরু হয় । দশমীতে ঘট বিসর্জন করা হয় । এবারে এই পূজা ২২৬ তম বর্ষ।

এখানে মা দুর্গা দেবী মা হিসেবে স্থায়ী মন্দিরে পূজিতা হন। এখানেও শারদীয়া দুর্গাপূজার মত সিংহ বাহিনী মা দুর্গার সাথে বাঘ মহিশাসুর কার্তিক গনেশ লক্ষী সরস্বতী থাকলেও,পূর্ব পরম্পরা মেনে পুজোর বিধি নিয়ম একটু ভিন্ন ধরনের। এখানে প্রতি এক বছর পর প্রতিমার বিসর্জন হয় । ষষ্ঠীর আগে পুরনো প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে নতুন প্রতিমা স্থায়ী মন্দিরে স্থাপন করা হয় । পুজো চলাকালীন গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতেই নিরামিষ ভোজন করে থাকেন।

দুর্গা মন্দির কে বলা হয় দেবী ঘর । এলাকায় কারও বাড়িতে বিবাহ অন্নপ্রাশন কিংবা কোন শুভ কাজ হলেই সর্ব প্রথম দেবী ঘরে ধুপ ধুনা প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রসাদ ( ভোগ ) দিয়ে পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন ।এরপর মনো কামনা পূর্ন হলে পুজোর দিনে দেবী মাকে রৌপ্য এবং স্বর্ন অলঙ্কার সাধ্য মত দিয়ে থাকেন। ভীষণ নিষ্ঠার সাথে দেবী মা পূজিতা হন। বসে মেলাও । এরপর দশমির দুদিন পর সারারাত ব্যাপী চলে আঞ্চলিক ভাষায় পালা গনের আসর। এই পূজা কমিটির উত্তরসূরি তথা মাড়েয়া তেজেন সিংহ জানান, প্রথমে এই পুজো শুরু করেন তদ কালীন ধনী ব্যক্তি আমিন মন্ডল।

এরপর পারিবারিক থেকে সার্বজনীন পুজোর রূপ নেন। এখানে মা দুর্গা স্থায়ী মন্দিরে সারা বছর পূজিতা হন নিষ্ঠার সঙ্গে। চারিদিকে আধুনিকতার ছোঁয়া থাকলেও , চুয়া গাড়ি দক্ষিণ পাড়ার দেবী দুর্গার পূজা হয় সাবেকিয়ানার ছোঁয়ায়। উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে , জমিদার আমিন মণ্ডলের আমলে এই পুজো শুরু হয় । পরবর্তীতে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে এই পুজো সর্বজনীন হয়ে উঠে ।